ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে যারপরনাই খুশি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার নেতৃত্বে একঝাঁক তরুণদের নিয়ে গঠিত দল নিয়ে ইংলিশদের দুই টি-টোয়েন্টিতে নাস্তানাবুদ করেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের পর ঢাকায়ও জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশেই টানা দুই টি-টোয়েন্টি খেলেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। কিন্তু টানা দুই ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয় তাদেরকে। ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর পেছনে তরুণদের কৃতিত্ব ছিল সবচেয়ে বেশি।
প্রথম ম্যাচে শান্ত দলকে জিতিয়েছিলেন। ৩০ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য সহজেই মিলিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। আজ শামীম পাটোয়ারীর পরিবর্তে মিরাজকে দলর্ভূক্ত করেন সাকিব। অধিনায়কের ভরসা রাখেন অফস্পিন অলরাউন্ডার। মিরাজের ৪ উইকেটে ইংল্যান্ড আটকে যায় ১১৭ রানে।
জবাবে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে ধুকলেও শান্তর অপরাজিত ৪৬ রানের সুবাদে জয়ের বন্দরে নোঙর করে। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ কেবল একটি ম্যাচ খেলেছিল। সেটা জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতে বাংলাদেশ নিজেদেরকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। সঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারানোর স্বাদ তো ভিন্ন।
কোনো ব্যক্তি, ক্রিকেটার নয়, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ জয়ের জন্য গোটা দলকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার মতে, দলগত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বড় অর্জন করেছে। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক সাকিব বলেছেন, ‘আমরা ভালো বোলিং করেছি। এই কন্ডিশনে তারা খুব ভালো শুরু পেয়েছিল। কিন্তু আমরা স্নায়ু স্থির রেখেছিলাম। বলবো, দলগতভাবে ভালো চেষ্টা করেছে সবাই। এরকম একটি কঠিন ম্যাচে আমাদের প্রত্যেকের স্নায়ু স্থির রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং মিরাজ কিন্তু প্রথম ম্যাচটা খেলেনি। এখানে ফিরে এসে রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ। শান্তর সঙ্গে তার ১৫ রানের ইনিংসটিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অন্যপ্রান্তে শান্তর ইনিংসটিও দারুণ ছিল।’