সারা বাংলা

ছবি এঁকে জানানো হলো নদী দখল ও দূষণের প্রতিবাদ

হবিগঞ্জে ১৯৭১ সালেও নদীর সংখ্যা ছিলো ৫৫, বেদখলসহ নানাভাবে অস্তিত্ব বিলোপ হয়ে বর্তমানে সে সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।  ছবি আঁকার কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে এই নদী দখল ও দূষণের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে হবিগঞ্জে। 

সোমবার (১৩ মার্চ) জেলা শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি ইকরামুল অধ্যাপক ওয়াদুদ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জের খোয়াই ও সুতাংসহ হবিগঞ্জের সকল নদী দখল-দূষণ বন্ধের দাবিতে ছবি এঁকে প্রতিবাদ করা হয়। 

এতে বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জের নদীগুলো চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় পতিত হয়েছে। দখল-দূষণসহ নানাবিধ অত্যাচারে নদীগুলো অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। নদী হচ্ছে একটি জাতির সভ্যতা ও অস্তিত্বের অংশ। তাই শিগগির নদীগুলো রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে।

বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ১৯৭১ সালে হবিগঞ্জ জেলায় ৫৫টি নদী থাকলেও গত ৫০ বছরে নদীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। যে নদীগুলোর অস্তিত্ব এখনও কোনোরকম টিকে আছে সেগুলোর অবস্থাও বিপন্ন।

তিনি জানান, জেলায় কয়টি নদী রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা জেলা প্রশাসনের কাছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। 

অন্যদিকে নদী কমিশনের ওয়েব পোর্টাল বলছে জেলায় নদীর সংখ্যা ২৮টি, কিন্তু বাস্তবে তা হবে ১৫ থেকে ২০টি।

হবিগঞ্জে উল্লেখ্যযোগ্য নদীর মধ্যে সীমান্ত অতিক্রম করা খোয়াই, সুতাং, সোনাই ও কুশিয়ারা এখন নানা সংকটে। সোনাই নদীর ওপরে বিশাল স্থাপনা, সুতাং নদীতে মিশে যাচ্ছে শিল্পবর্জ্য। ফলে নদীপাড়ের মানুষেরা এখন  বিপাকে।