ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। ১৯৯৭ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৩ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন’ সিনেমায় প্রথম নায়িকা চরিত্রে দেখা যায় তাকে। এতে জিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তিনি।
এরপর অনেক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। তবে সেসব সিনেমায় নায়িকা রূপে তাকে পেয়েছেন দর্শক। এবার মায়াবী রূপের নায়িকার খোলস ছাড়িয়ে খলনায়িকা হয়ে পর্দায় আসছেন শ্রাবন্তী। নির্মাতা রাজর্ষি দের ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমায় এমন রূপে ধরা দেবেন এই নায়িকা।
মুক্তি মণ্ডপ নামে একটি বিধবা আশ্রমকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমার গল্প। শ্রাবন্তীর জীবনের এই নতুন অধ্যায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রীর অনুগামীরা। সিনেমাটির বড় অংশের শুটিং হবে বারাণসীতে। ইতিমধ্যেই কাস্ট অ্যন্ড ক্রু সদস্যরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানে বিশ্বনাথের মন্দিরে পূজা দিয়ে শুরু হবে শুটিং।
ছকভাঙা চরিত্র থেকে বেরিয়ে শ্রাবন্তীর নতুন পরিচয় তৈরির চেষ্টা করছেন পরিচালক রাজর্ষি দে। একদিকে দেবী চৌধুরানীর মতো চরিত্র, অন্যদিকে প্রথমবার নেগেটিভ ভূমিকায় পর্দায় আবির্ভাব ঘটবে শ্রাবন্তীর।
ক্যারিয়ারে একসঙ্গে এই ধরণের সুযোগ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি শ্রাবন্তী। এ অভিনেত্রীর ভাষায়— ‘নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আমি প্রস্তুত। নিজেকে বারবার অভিনেত্রী হিসেবে ভাবলেও দর্শক আমাকে নায়িকা বানিয়েছেন। এবার ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে নাড়া দিতে পারব এমনটাই আমার বিশ্বাস।’
বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত কারণে অধিকবার খবরের শিরোনাম হন। স্বামী রোশান সিংয়ের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে আলাদা থাকছেন তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে পুনরায় সংসার করার জন্য মামলাও দায়ের করেন রোশান। কিন্তু তাতে সায় না দিয়ে বিয়েবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেন শ্রাবন্তী। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে খোরপোশ বাবদ অর্থও দাবি করেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু এ মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০০৩ সালে পরিচালক রাজীবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্রাবন্তী। এই দম্পতির অভিমন্যু নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। রাজীবের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর প্রেমিক কৃষাণ ভিরাজকে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শ্রাবন্তী ও কৃষাণের বিয়ে হয়। কিন্তু বছর পেরুতেই বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানান শ্রাবন্তী। ২০১৯ সালে রোশানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।