সারা বাংলা

বিলের জলে ভাসমান স্মৃতিসৌধ

কুড়িগ্রামে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে বিলের মধ্যে লাল সবুজের রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী ভাসমান এক দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ। 

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলার রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে চাকির পশার বিলে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে এই ভাসমান স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন রঙের বাতির আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে বিলের চারপাশ। যা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।  

রোববার (২৬ মার্চ) রাত থেকে উপজেলার চাকির পশা বিলের মধ্যে এই স্মৃতিসৌধটির দেখা মিলছে। স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিলের পাড়ে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি নিজ অর্থায়নে অস্থায়ী একটি ভাসমান স্মৃতিসৌধ তৈরি করেন। লোহার এঙ্গেল, রড, পাতি, কাপড় ও বিভিন্ন রঙের লাইট ব্যবহার করা হয়েছে এই স্মৃতিসৌধটিতে। এটি লম্বায় প্রায় ২১ ফুট। সবকিছু ঠিক থাকলে স্মৃতিসৌধটি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের দেখার জন্য রোজার ঈদ পর্যন্ত বিলের মধ্যেই রাখা হবে বলে জানা গেছে। 

স্মৃতিসৌধটি দেখতে আসা আলমগীর বলেন, ‘বিলের পানিতে তৈরি করা স্মৃতিসৌধটি লাল সবুজের রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। এটি দেখতে অসাধারণ। আমি ফেসবুকে স্মৃতিসৌধটি সৌন্দর্য দেখতে পেয়ে চলে আসলাম। আসলেই অসাধারণ, নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না এর সৌন্দর্য।’ 

রাজারহাট উপজেলার চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির বলেন, ‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে চাকির পশা বিলের মধ্যে অস্থায়ী দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে মূলত স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘১৫ দিন ধরে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। পানির মধ্যে স্মৃতিসৌধটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। এর সৌন্দর্য রাতে উপভোগ করার মতো। আমরা স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের বলবো তারা যেন স্মৃতিসৌধটির সৌন্দর্য দেখতে এখানে আসেন।’