আগের রাতেই টিভির পর্দায় দেখেছেন ৫১৭ রানের বিশ্ব রেকর্ডের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যেখানে ৪৬ চার ও ৩৫ ছক্কা হয়েছে। আর দুই দলের দুজন করেছিলেন সেঞ্চুরি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লসের ৪৬ বলে ১১৮ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক ৪৪ বলে ১০০ রান করেন। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৫ উইকেটে ২৫৮ রান দক্ষিণ আফ্রিকা ছুঁয়ে ফেলে ৭ বল হাতে রেখেই। লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ ওভারে ১০২ রান করেছিলেন।
রান উৎসবের এমন ম্যাচ দেখে আজ ৮ হাজার ৭০১ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছিলেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ওপেনারের শুরুটাও ছিল অনেকটা সেঞ্চুরিয়নের মতো। যেখানে তারা পাওয়ার প্লে’তে ৮১ রান তুলেছিলেন। যা নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ডও। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭৬, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩ সালে।
চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে মাঠ মাতিয়ে রাখেন রনি ও লিটন। দুজন সমানতালে পারফর্ম করে দলের রান নিয়ে যান চূঁড়ায়।রনি ও লিটনের এমন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ড্রেসিংরুমে ছড়িয়েছিল রোমাঞ্চ, উত্তেজনা। ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে গতকালের ম্যাচ নিয়ে কথা বলছিলেন। লিটন আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর সেই আলোচনা ডালাপালা ছড়ায়। ড্রেসিংরুমে নিজেদের আলোচনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া তাসকিন।
‘(লিটন-রনির ব্যাটিং) খুবই ভালো লাগছিল। গতকালকে ১০০ রান (আসলে ১০২ রান) দেখেছি দক্ষিণ আফ্রিকার খেলায়। আমরা ভাবছিলাম ওরকম কিছু হতে যাচ্ছে নাকি। পরে লিটন আউট হয়ে আসার পর আমি বললাম, 'কিরে তুই কি কালকের ম্যাচ দেখে ওরকম পিটাচ্ছিলি(হাসি)?' (লিটন) বলে, 'হ্যাঁ! ওরা পারলে আমরাও পারব।’
লিটনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের চিত্র প্রায়ই দেখা যায়। আজও ২৩ বলে ৪৭ রান করেছিলেন। ৮ বছর পর জাতীয় দলে ফেরা রনি নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়ে যাচ্ছেন প্রতি ম্যাচে। আজ ৩৮ বলে ৬৭ রান করে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। বাংলাদেশ যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেটের কথা বলছে দীর্ঘদিন ধরে, রনি ও লিটনের ব্যাটে সেই চিত্রই আঁকা হয়েছে। তাইতো তাসকিনের কণ্ঠে দুজনকে নিয়ে প্রশংসা ঝরল।
‘তো এটা খুব ইতিবাচক বিষয় এবং আমরাও খুব উপভোগ করছিলাম। মাশাআল্লাহ্! এরকম ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে থাকলে অনেক ভালো কিছু হবে।' - বলেছেন তাসকিন।