আগুনে দাগ লেগে যাওয়া একটি কাপড় কি আপনার ঈদের বাজেট থেকে কিনতে চাইবেন? একটু দাগ নাহয় থাকছে, কিন্তু একটা সংসারের কষ্টের দাগ তো মুছবে! বিদ্যানন্দ বেচার অনুপযোগী কিন্তু পরার উপযোগী কাপড়গুলো কিনে নিতে চায় বিনামূল্যে বিতরণের জন্য। পরিবেশগত কারণে এগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত চায় তারা।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাত ৯টায় রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন ম্যানেজার সালমান খান।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও সালমান খানের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, লাখ টাকায় পোড়া কাপড় কিনতে চেয়েছেন এক শুভাকাঙ্ক্ষী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা কল দিচ্ছেন পোড়া কাপড় কিনতে। বিদেশ থেকে প্রবাসীরাও ঈদের পোশাকে রাখতে চান ঝলসে যাওয়া একটি কাপড়। তাদের ভাষ্য, উপহাসের জন্য হয়ত পরতে পারবে না বেশিদিন, তবে আলমিরাতে যত্ন করে রেখে দেবে স্মৃতি হিসেবে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়, স্বেচ্ছাসেবীদের ঘাম ছুটছে কাপড় উদ্ধার করতে। তারপরও কাপড় উদ্ধার করে চলছে বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবীরা। লাখ লাখ টাকার কাপড় এক বস্তাতেই। ইতোমধ্যে কোটি টাকার কাপড় নিরাপদে নিয়ে যেতে পারছে টিম।
সালমান খান আরও বলেন, কিছু দোকানি তাদের কাছে ঠিক এভাবেই সাহায্য চাইছে ‘বুড়া মানুষের মালগুলো একটু সরায় দিবা। রাতে যদি আবার আগুন লাগে। যতটুকু বাঁচছে, সেগুলো বের করে দাও, বাবা...। চোরের উৎপাতও আছে’।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, বিয়ের এই শাড়ির গতকাল দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা, এখন ০! শেরওয়ানি ছিল ১৩ হাজার টাকা, এখন ০! টি-শার্ট গতকাল ৩৫০, এখন ০ টাকা! ০, ০, ০; সবকিছুই শূন্য এখানে। মানুষগুলোর ভাগ্য শূন্য, ভবিষ্যৎ শূন্য, আশা শূন্য। বিদ্যানন্দের কর্মীরাও এই মানুষগুলোর মাঝে শূন্যের চেয়ে বেশি কিছু খোঁজার চেষ্টা করছে। উদ্ধার তো কিছুই করতে পারিনি, গড়তে চেষ্টা করবো জীবন দিয়ে।