ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ব্যবসায়ীদের নিজ নিজ জায়গায় বসিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। ঈদের পর ব্যবসায়ীদের পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অস্থায়ীভাবে বসার ব্যবস্থার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন ।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র তাপস বলেন, প্রতিকূলতার মধ্যেও ব্যবসায়ীদের বসানোর ব্যবস্থা হলো। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবার ব্যবসা শুরু করতে পেরেছেন। তাতে পুরো ক্ষতি কাটিতে উঠতে সময় লাগলেও অন্তত ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ তৈরি হলো৷
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক দুরভিসন্ধিমূলক কাজ হতে পারত, তবে নিরাপত্তা জোরদার করায় সেটা হতে পারেনি—এমন কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩ হাজার ৮৪৫টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনে দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেলেও এই ব্যবসায়ীরা সাহসের সঙ্গে আবার ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছেন। আমরা তাদের সব ধরনের সহায়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ব্যবসাবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তরিকতার সঙ্গে এই কাজ করছে।
সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, আগুনের লেলিহান শিখা বঙ্গবাজারকে পুড়িয়ে দিলেও ব্যবসায়ীরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। ব্যবসায়ীদের দিকে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সবাইকে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীরা চৌকি পেতে বেচাকেনা শুরু করেছেন। তবে প্রচণ্ড রোদে ক্রেতা আসছেন কম। বিকেল থেকে ক্রেতা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। মেয়রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে আজ বুধবার রাতের মধ্যে অস্থায়ী এসব দোকানের জন্য শামিয়ানা টানানো হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলেও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।