আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে অংশ নিতে ইতোমধ্যে প্রচারণা চালাতে শুরু করেছেন মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনা ও একাধিকবার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল।
মামুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একাধিকবার স্বর্ণ বিজয়ী কাউন্সিলর তিনি। মামুন ৫ বছর আগে থেকেই মেয়র নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা ও প্রচার প্রচরণা চালিয়ে আসছেন। সম্প্রতি এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তাফসিল ঘোষণা হলে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র কেনেন তিনি।
মামুন নিজেকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনী শো’ডাউন শুরু করেছেন। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় তার শতশত কর্মী তার পক্ষে প্রচরণায় অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও নগরীর সব জায়গায় ব্যানার ফেস্টুন, পোস্টার লাগিয়ে রেখেছেন মামুনের সমর্থকরা। বিপুল সংখ্যক কর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালাচ্ছেন মামুনের পক্ষে প্রচরণা।
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা ছাত্রলীগের কর্মী শাওন ইসলাম বলেন, আবদুল্লাহ আল মানুষ মন্ডল জনগণের বন্ধু। ন্যায় ও ইনসাফের মাধ্যমে সবসময় কাজ করেন। আমরা তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমাদের বিজয় আসবে।
জয়দেবপুর এলাকার বাসিন্দা সজিব চৌধুরী বলেন, সত্যবাদী এবং স্পষ্টভাষী হিসেবে মামুনের পরিচয় রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে মাঠে থেকেছেন। এছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুইবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। আশা করছি আওয়ামী লীগ তাকে নমিনেশন দেবে।
মেয়র প্রার্থী মামুন মন্ডল বলেন, জন কল্যাণ মূলক কাজে ২০১৯ সালে এবং শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবে ২০২০ ও ২০২২ সালে স্বর্ণপদক পেয়েছি। এলাকাবাসীর জন্য বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করার কারণে আশা করছি এবারের গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে মেয়র হিসাবে নির্বাচন করার সুযোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার লক্ষ্য নাগরিক সেবা নিশ্চিত করে এই সিটি করপোরেশনকে স্মার্ট নগর হিসেবে গড়ে তোলা। একই সঙ্গে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায় এবং শিল্প মালিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং চাঁদাবাজী ও হয়রানী মুক্ত পরিবেশে ব্যবসায়ীদের জন্য হালাল ও বৈধ ব্যবসার মাধ্যমে এই নগরী গড়ে তোলার কাজ করে যাওয়া।’
মামুন বলেন, ‘আমি মেয়র হলে, নগরের প্রত্যেক অঞ্চল এলাকায় একটি করে গণকবরস্থান, একটি করে খেলার মাঠ, একটি করে পার্ক নির্মাণ করার চেষ্টা করবো। নারী ও পোশাক শ্রমিকসহ সব পেশাজীবী ও শ্রেণি পেশার মানুষদের রাতে রাস্তায় চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সড়কবাতির ব্যবস্থা করা। মসজিদের খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, কওমী মাদরাসা, এবতেদায়ী মাদরাসা, দাখিল, আলীম, ফাজিল, কামিল মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, হাই স্কুল, ল' কলেজ, নার্সিং কলেজ, কারিগরি স্কুল ও কলেজ, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য একটি আধুনিক স্মার্ট মিলনায়তন, কম্পিউটার ল্যাব ও লাইব্রেরী এবং রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠা করা।’
প্রসঙ্গত, দেশের সর্ববৃহৎ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এবার ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। তফসিল অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল ২৭ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ এপ্রিল। এরপর প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে।