খেলাধুলা

সোহাগ মনে করে তার উপর অবিচার করা হয়েছে: সালাউদ্দিন

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টিকে অবিচার হিসেবে বলছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনায় তাকে এমনটাই জানিয়েছেন বাফুফের বেতনভুক্ত এই কর্মকর্তা।

গতকাল এক বিবৃতি দিয়ে সোহাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানায় ফিফা। তিনি ২ বছর ফুটবলের কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আর্থিক অনিয়মের কারণে এই শাস্তি পান সোহাগ। সঙ্গে দিতে হবে প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা।

সোহাগের এমন শাস্তির পর শনিবার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘এথিক্স কমিটির যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এটা নিয়ে আমি সোহাগের সঙ্গে কথা বলেছি গতকাল রাতে। সে আমাকে বলেছে, এথিক্স কমিটির যে সিদ্ধান্ত সেটা তার উপর অবিচার করা  হয়েছে বলে সে (সোহাগ) মনে করে। এবং এটা নিয়ে কোর্ট অব অরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছেন।’

এর আগে আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতেও সোহাগ ফিফার এই শাস্তিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন আপিল করার কথা। তবে ফিফা কেন শাস্তি দিয়েছে সেটা ৫১ পৃষ্ঠার বিবৃতিতে জানিয়েছে ফিফা। সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন জানিয়েছেন তিনি বিস্তারিত পড়েননি।

ফিফা আইনের ১৩তম ধারা (জেনারেল ডিউটি), ১৫তম ধারা (ডিউটি অব লয়ালিটি) এবং ২৪তম ধারা (নকল ডকুমেন্ট প্রদান) ভঙ্গ করায় ফিফার ইনডিপেন্ডেন্ট এথিক্স কমিটি সোহাগকে এই শাস্তি দেয়।

সালাউদ্দিন বলেন, ‘আপনারা যেমন গতকাল ডকুমেন্ট পেয়েছেন। আমিও গতকালই জানতে পেরেছি। আমি গতকাল, আজকেও ডকুমেন্টস পড়েছি তবে শেষ করতে পারি নাই। তার বিরুদ্ধে যা যা করার ছিল যেমন ব্যান করা, এটা আপনারা দেখেছেন সেটা হয়ে গেছে।’

‘ওরা (ফিফা) কিন্ত বলে নাই আর্থিক অনিয়ম। ফিফার রিপোর্টে আর্থিক অনিয়ম বলা হয়নি। ওরা কোড অব এথিক্স এবং রেসপনসিবিলিটি নিয়ে বলেছে। যাই বলা হয়েছে সবই এখানে আসবে এখানে লুকানোর কিছু নাই। তবে কিছু বলার আগে আমার সকলের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার সব ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র মেম্বারদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সিদ্ধান্ত যেটা হবে সেটাই আমি সকলকে জানাবো।’