যেন এলোমেলো বোলিংয়ের মহোৎসব। সঙ্গে আছে ক্যাচ মিসের মহড়া। সেই সুযোগ লুফে নেয় আয়ারল্যান্ড। শরিফুল ইসলাম হতে শুরু করে তাইজুল ইসলাম কিংবা অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানকেও ছাড়েননি আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। তাদের ইনিংসে ছয়ের মার ছিল ১৬টি! আর চার ২০টি।
তবে তাদের তুলোনায় ব্যতিক্রম ছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। তার তোপে ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে করে মাত্র ২৬ রান। এর পর থেকে হাত খুলে খেলেছেন আইরিশরা। হ্যারি টেক্টরের সেঞ্চুরির সঙ্গে জর্জ ডকরেলের ঝড়ো ফিফটি, তাতেই মাত্র ৪৫ ওভারে আয়ারল্যান্ডের স্কোরবোর্ড ফুলে ফেঁপে হয়েছে রানের পাহাড়।
শুক্রবার চেমসফোর্ডের ক্লাউড কাউন্টি গ্রাউন্ডে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। হাসানের তোপে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হলেও ধীরে ধীরে খেই হারিয়ে এলোমেলো বোলিং করতে থাকেন বোলাররা। সেই সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন টেক্টররা।
শুরুতেই ২ উইকেট হারানোর পর ৯৮ রানের জুটিতে পালটা প্রতিরোধ গড়েন টেক্টর-বালবার্নি। তাইজুল ইসলামকে ৩ ছয় হাঁকিয়ে ফিফটি হাঁকানো টেক্টর সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ৯২ বলে। বালবার্নি ৪২ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর টকার (১৬) ও ক্যাম্পার (৮) ফিরে যান দ্রুত। তারা ফিরলে টেক্টরের সঙ্গী হন ডকরেল। দুজনে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই জুটিতে মাত্র ৬৮ বলে ১১৫ রান যোগ করেন।
১১৩ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলে থামেন টেক্টর। তার ইনিংসে চারের চেয়ে বেশি ছিল ছয়ের মার। ৭টি চারের সঙ্গে হাঁকান ১০টি ছয়। সতীর্থ টেক্টরের মার দেখে থেমে থাকেননি ডকরেলও। ৩৮তম ওভারে শরিফুলকে হাঁকান ৩টি ছয়। এই ওভারে শরিফুল খরচ করেন ২৪ রান! মাত্র ৩১ বলে ডকরেল তুলে নেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে। ৫৯ রানে ডকরেল জীবন পান সাকিবের হাতে। তার সঙ্গে অ্যাডেয়ার ৮ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন।
৯ ওভারে ২ উইকেট নেওয়া শরিফুল একাই দেন ৮৩ রান! শুধু তাই নয় তাইজুলের সঙ্গে দ্বিধায় ক্যাচ ছেড়েছেন টেক্টরের। ২৩ রানে জীবন পেয়ে টেক্টর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে। এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ১১৩।
একমাত্র হাসান ছাড়া সব বোলারই ওভার প্রতি ছয়ের বেশি রান দেন। হাসান ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। প্রথম ৫ ওভারে ১২ রান দিয়েছিলেন, শেষ চার ওভারে দেন ৩৬। ইবাদত শুরু থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেও শেষ দিকে এলোমেলো বোলিং করেন। ৯ ওভারে তিনি খরচ করেন ৫৬ রান। উইকেট নেন ১টি।
এ ছাড়া তাইজুল ৭ ওভারে ৫৯, সাকিব ৯ ওভারে দেন ৫৭ রান। মিরাজ মাত্র ২ ওভারে দেন ১৩। তাইজুল ১টি উইকেট পেলেও বাকি দুজন খালি হাতে ফেরেন।