ম্যাকব্রিনকে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। মিস টাইমিং। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। মুশফিক রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কল হওয়াতে আউটের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। মুশফিকের এই আউটের পর বাংলাদেশ মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়।
অথচ ফিফটি করা তামিম ইকবাল ফেরার পর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দারুণভাবে এগোচ্ছিলেন মুশফিক। দুজনে ৭২ বলে যোগ করেন ৭৬ রান। ৫৪ বলে ৪৫ রান করে মুশফিক আউট হতেই ছন্দপতন ঘটে। তার আউটের পর মাত্র ১৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ। ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রানে অলআউট হয় লাল সবুজের দল।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। অভিষিক্ত রনি ফেরেন ৪ রানে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত হন তামিমের সঙ্গী। দুজনে জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। ৪৪ বলে যোগ করেন ৪৯। ৩২ বলে ৩৫ রান করে শান্ত আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এবার শুরু হয় তামিম-লিটনের পথচলা। দুজনে ৭৬ বলে ৭০ রান যোগ করেন। চারে দারুণ খেলতে থাকা লিটন আউট হন ৩৫ রানে।
লিটন ফেরার পর ক্রিজে এসে দ্রুত ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। ৯ মাস পর ৬১ বলে ফিফটির দেখা পান তামিম। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৯ রান। ৮২ বলে এই রান করে সাজঘরে ফিরলে মুশফিক-মিরাজের ব্যাটে এগোতে থাকে দল। কিন্তু মুশফিকের আউটের পর সব এলোমেলো হয়ে যায়। মিরাজ আউট হন ৩৫ রান। পেস অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে।
আইরিশদের হয়ে দারুণ বোলিং করেন মার্ক অ্যাডেয়ার। ৮.৫ ওভারে ৪০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন ম্যাকব্রিন-ডকরেল।