সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কী না এ ব্যাপারে ২০ মে (শনিবার) সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করে ঘোষণা দেবেন এমনটি আগেই জানিয়েছিলেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তবে রেজিস্ট্রারি মাঠে আরিফুল হক চৌধুরীকে এতোদিন সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে, আজ শুক্রবার (১৯ মে) অনুমতি পেয়েছেন তিনি। এখন তার পক্ষে সমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে, সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে আরিফুল হক চৌধুরীকে রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ না করার অনুরোধ জানানো হয়। অনুমতি না পেয়ে ক্ষুব্ধ আরিফুল হক চৌধুরী আজ (শুক্রবার) বিকেলে নিজের অনুসারীদের নিয়ে রেজিস্ট্রারি মাঠের বন্ধ ফটকের সামনে বসে পড়েন। এসময় নেতাকর্মীরা আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। এসময় নেতাকর্মীরা সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সমাবেশের জন্য আমি তিন দিন আগে পুলিশকে চিঠি দিয়েছি। টিভি-পত্রিকায় প্রচারণা চালিয়েছি, মাইকিং করেছি। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়। আমি আমার অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য মহানগরবাসীকে ডেকেছি।
এসময় পুলিশ সড়ক থেকে সরে যেতে বললে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি এখানে থেকে সরছি না। প্রয়োজন হলে আমাকে আটক করেন। গ্রেপ্তার বা জেলের ভয় দেখিয়ে আমকে আটকানো যাবে না।
প্রায় ঘণ্টাখানেক মাঠের সামনের সড়কে অবস্থানের পর পুলিশের পক্ষ থেকে আরিফুল হক চৌধুরীকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর খুলে দেওয়া হয় রেজিস্ট্রারি মাঠের বন্ধ ফটক। পরে সমাবেশের জন্য ডেকোরেটার্সের সরঞ্জামাদি প্রবেশ করে মাঠে।
এ বিষয়ে বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার সুদীপ দাস বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এমন শঙ্কায় আরিফুল হক চৌধুরীকে সমাবেশ না করতে অনুরোধ করা হয়েছিলো। পরে আগামীকাল শনিবার তাকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে শুরু থেকেই গুঞ্জন রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আরিফুল হক চৌধুরীর বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে এই গুঞ্জন ও নগরবাসীর কৌতুহল আরো বাড়িয়েছে।