গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারণাকালে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে নগরীর ছয়দানা এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয়কারী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমি ও আমার ছেলে ভোট চাইতে মানুষের কাছে গিয়েছি। কিন্তু আমাদের ভোট চাইতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যতবার টঙ্গী গিয়েছি ততবারই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আমি যদি ভোট চাইতে না পারি, তাহলে মানুষ আমাকে কীভাবে ভোট দিবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে এবং আমার ছেলেকে মারার জন্য চেষ্টা করছে। আমজত উল্লা খান আমাদের মারার জন্য লোক সেট করেছে। আগামী ২৫ তারিখ জনগণ প্রমাণ করে দেবে আমি এবং আমার ছেলে কেমন। আমি আমার নিরাপত্তা চাই। যারা আমার কাজ করে তাদের নিরাপত্তা চাই।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয়কারী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ও আমার মা কোথাও প্রচারণায় গেলে নানা কৌশলে আমাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। ওয়ার্ড, মহল্লায় এবং সেন্টার ভিত্তিক আমাদের নেতাকর্মীরা প্রচারণা করে। তাদেরকেও নানাভাবে বাধা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজমত উল্লা তার নিজস্ব ও দলীয় কিছু লোক দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ ভোট করা। কিন্তু প্রশাসনের কিছু লোক আমাদের নেতাকর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিয়ে যাচ্ছে।’
জায়েদা খাতুনের ওপর হামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, ‘হামলার বিষয়টি শুনেছি, আপনারাই সত্যতা যাচাই করুন। তার গাড়ি একটি মানুষের পায়ের ওপরে উঠিয়ে দিয়েছে, সেই লোকটা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কারও উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া সেটা তিনি (জাহাঙ্গীর) আগে থেকেই করেন।’
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গণসংযোগে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টঙ্গীর পূর্ব গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনায় গাড়ির চালক সায়ের মাহমুদ শুভ বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা করেছেন।