গাইবান্ধা সদরের বাদিয়াখালি-তালুকজামিরা সড়কের মাঝে শৌলতাড়ী নামের একটি কালভার্ট রয়েছে। কয়েক বছর আগে বন্যার পানির চাপে কালভার্টের মাটি দেবে গেছে। এরপর থেকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা কালভার্টের ওপর দিয়ে অবাদে যানবাহন চলাচল করছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে প্রবল বন্যার পানির চাপে কালভার্টের পশ্চিম পাশের মাটি দেবে যায়। এরপর থেকেই নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে কালভার্টটি। সেই থেকে কালভার্টটি সংস্কারের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে আসছেন।
বাদিয়াখালি-তালুকজামিরা সড়কটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী, গোবিন্দগন্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। যার কারণে সিএনজি, মিনিট্রাক, ট্রাক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে এই সড়কটি দিয়ে। ফলে প্রতিটি যানবাহনকেই ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টটি অতিক্রম করতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন মিয়া বলেন, ১৯৭৬ সালে এই কালভার্টটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৪৭ বছর আগে নির্মিত কালভার্টটির এক পাশের মাটি দেবে গেছে। এতে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করার দাবি জানিয়ে আসছি। নতুন কালভার্ট হলে মানুষ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
বাদিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, কালভার্টটি অনেক আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। ২০১৯ সালে বন্যার পানির চাপে পশ্চিম পাশের মাটি দেবে গিয়ে আরও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা এখানে নতুন করে একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী বাবলু মিয়া জানান, তিনি ইতোমধ্যে কালভার্ট পরিদর্শন করেছেন। নতুন কালভার্ট নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।