মেয়র পদে আরিফুল হক চৌধুরীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে পারলেও কাউন্সিলরদের অনেককে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পারছে না বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৩ মে) শেষদিনে বর্তমান কাউন্সিলরদের কয়েকজন মনোনয়নপত্র জমা দিবেন বলে জানা গেছে। এর আগে সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ও ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম এবং ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলটি সিটি মেয়র, এমনকি কাউন্সিলর পদেও দলীয় নেতাদের অংশ না নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। ইতোমধ্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া বিএনপি নেতা ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিনার খান হাসুসহ অনেকেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ও ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম এবং ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, ৩৯ নং ওয়ার্ডে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন। আরো কয়েকজন বিএনপি নেতা আজ (মঙ্গলবার) শেষদিনে মনোনয়নপত্র জমা দিবেন বলে জানা গেছে।
কাউন্সিলর পদে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাধারণ ৪২টি ও সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে বিএনপির শতাধিক নেতা—কর্মী প্রার্থী হওয়ার তৎপরতা শুরু করেন। তবে এবার যাতে বিএনপির কেউ প্রার্থী না হন এ ব্যাপারে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে দলটি। বিশেষত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরাতে ২৫ সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া ৩২ সম্ভাব্য প্রার্থীকে নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় মহানগর বিএনপি। তবে অনেকেই তাতে কর্ণপাত করছেন না। এর সাথে মহানগর বিএনপির শীর্ষ পদবধারীসহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতিও রয়েছেন।
বিএনপির সর্বশেষ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীমও আজ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘এলাকার মানুষ তো আমাকে ছাড়ছে না। আমি এখানকার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর। আর কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয় না। তাই মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার চিন্তা করছি।’
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমি এবারও প্রার্থী হচ্ছি। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী বলেন, দল নির্বাচনে যাবে না। তবে এলাকাবাসীর চাপে আমি প্রার্থী হয়েছি।
বিএনপি নেতাদের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, ‘বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই যাবে না। আমরা এখন সরকার পতনের আন্দোলনে আছি। আমাদের প্রত্যাশা কাউন্সিলর পদে বিএনপির দায়িত্বশীল কেউ প্রার্থী হবেন না।’
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামি ২১ জুন ইভিএমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন।