তালা ভেঙে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন রাজশাহীর বিএনপি নেতারা। বুধবার (২৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা তালা ভাঙেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পুলিশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিএনপি নেতারা। তারা বলছিলেন, এই তালা পুলিশই লাগিয়েছে। তাই তারা পুলিশের কাছে তালা খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তালা, বাইরে বসে নেতারা
তবে পুলিশ জানায়, তালা পুলিশের পক্ষ থেকে লাগানো হয়নি। তাই তালা খোলা কিংবা না খোলা সেটি বিএনপির ব্যাপার। পুলিশের এমন কথার পর তালা ভেঙে ফেলা হয়।
রাজশাহী বিএনপির দলীয় কার্যালয়টি একটি ভবনের দোতলায়। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ অন্য নেতারা দোতলা পর্যন্ত উঠে দলীয় কার্যালয়ে তালা দেখেন। এ সময় তারা সেখানেই বসে থাকেন। তখন বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, তালা পুলিশ লাগিয়েছে। খুলে না দেওয়া পর্যন্ত তারা বসে থাকবেন।
সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ছিল। বিএনপি নেতারা তালা ভাঙার পর পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়। তালা ভাঙার পর বুলবুল বলেন, ‘আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। পুলিশ বলেছে এই তালা তারা লাগায়নি। তাই আমরা ভেঙে ফেলেছি।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ‘পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে তালা দেয়নি। এটা বিএনপির মিথ্যাচার। পুলিশ তালা না লাগালে খুলতে যাবে কেন? বিএনপির নেতারাই তালা ভেঙেছেন।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ। সেদিন সকাল ১১টায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল। তবে তার আগেই রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে শহরে সব ধরনের পদযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপির পদযাত্রা যেন না হয় তার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। দলীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি।
এদিকে, গতকাল সকাল থেকেই চারপাশ ঘিরে রেখে শহরের সাহেববাজার, মালোপাড়া, গণকপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। সন্ধ্যার আগে কঠোর নিরাপত্তা শিথিল করা হয়।