নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ছাত্রদল নেতা আশরাফুল মারা গেছেন।
শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমানের (৩২) মৃত্যু ঘটে।
তবে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। নিহত সাদেকুর রহমানের বাবার নাম আলাউদ্দিন। অপর নিহত আশরাফুল জেলার সাঠিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হকের ছেলে।
জানা জায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে সাদেকুর রহমান এবং আশরাফুল আহত হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই দুই ছাত্রদল নেতা মারা যান।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে ছাত্রদলের সভাপতি, মাইনুদ্দিন ভুইয়াকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রদলের ৫ সদস্যবিশিষ্ট (আংশিক) কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এরপর থেকে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। এর জের ধরে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবন তথা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে একাধিকবার হামলা ভাঙচুর এবং গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।