দীর্ঘ ১১ বছর পর জার্মান বুন্দেস লিগার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্রয়োজন ছিল কেবল একটি জয়। শনিবার রাতে মেইঞ্জের বিপক্ষে জিতলেই অপেক্ষার অবসান হতো।
কিন্তু পারলো না কালো-হলুদ জার্সিধারীরা। মেইঞ্জের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তারা ২-২ গোলে ড্র করে। অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখ শেষ ম্যাচে এফসি কোলনকে ২-১ গোলে হারিয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে টানা ১১তম লিগ শিরোপা জিতে নেয়। তাও আবার অন্তিম মুহূর্তের গোলে!
শিরোপা হাতছাড়া করতে বসা বায়ার্ন শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে। ম্যাচ শেষ হলেও তাদের উল্লাস আর উচ্ছ্বাস থামছিল না। ঠিক বিপরীত চিত্র ছিল বরুশিয়ার মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে। খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দীর্ঘ ১১ বছর পর শিরোপার উল্লাস করতে মাঠে প্রবেশ করা ৮১ হাজার দর্শক ভগ্ন হৃদয়ে মুষড়ে পড়েন। প্রায় পেয়েও হারানোর বেদনার ছাপ স্পষ্ট ছিল তাদের চোখে-মুখে।
লিগের শেষ ম্যাচে দারুণ খেলে বায়ার্ন। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে কিংসলে কোমানের গোলে এগিয়ে যায় দ্য রেডসরা। এরপর কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলে তারা। কিন্তু ৮১ মিনিটে কোলনের দেজান এলজুবিসিস পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান। তাতে আবার জাগে শঙ্কা। ড্র করলে যে বরুশিয়া জিতে যাবে শিরোপা। কিন্তু সেটা হতে দেননি জামাল মুসিয়ালা। তিনি ৮৯ মিনিটে গোল করে ২-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন। গোল ব্যবধানে নিশ্চিত করেন টানা ১১তম লিগ শিরোপা জয়।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পরে বরুশিয়া। ১৫ মিনিটে মেইঞ্জের আন্দ্রেয়াস গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। আর ২৪ মিনিটে করিম ওনিসিও গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বরুশিয়ার রাফায়েল গুরেইরো ৬৯ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান। আর নিকলাস সুলে ৯০+৬ মিনিটের মাথায় গোল করে সমতা ফেরান। কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। তাতে প্রায় এক যুগ পর তাদের শিরোপাও জেতা হয়নি।
এই ড্রয়ে ৩৪ ম্যাচ থেকে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে (+৩৯) পিছিয়ে রানার্স-আপ হয় বরুশিয়া। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে (+৫৪) এগিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বায়ার্ন।