গত ২৯ মে দিবাগত রাতে চিত্রনায়ক শরীফুল রাজের ফেসবুকে কয়েকটি স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফাঁস হয়। এসব ভিডিও ফেসবুকে কীভাবে ছড়িয়েছে তা এখনো রহস্যে ঘেরা! কে প্রকাশ করেছেন? রাজ-সুনেরাহ-পরীমণিসহ সবারই একই প্রশ্ন। কেন এই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ভিডিও এবং স্থিরচিত্র প্রকাশ করা হয় শরীফুল রাজের ফেসবুক থেকে। এ ঘটনার পর নীরব ভূমিকা পালন করেন রাজ, তিশা ও তুষি। কিন্তু প্রশ্ন ছুড়ে দেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। তার ভাষ্য— ভিডিও এবং স্থিরচিত্র প্রকাশ্যে আনা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
এদিকে নায়িকা পরীমণি তার স্বামী শরীফুল রাজকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেন। তার ভাষ্য, ‘রাজ গত দশ দিন ধরে বাসায় নেই। রাজ ১০ দিন ধরে ওদের কাছে থাকছে। গত ২০ মে রাজ বাসা থেকে বেরিয়েছে। সেদিন থেকেই দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ওদের সঙ্গেই থাকে। সুনেরাহর জন্য আমার সংসার ভাঙতেছে। আমার সংসার ভাঙার জন্য ও (সুনেরাহ) দায়ী থাকবে।’
প্রকাশিত ভিডিও প্রসঙ্গে কেউ কেউ মনে করেন, পরীমণি নিজেই এই ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘সোমবার রাতে যদি রাজ আমার সঙ্গে থাকত তাহলে এটা করার সম্ভাবনা ছিল। যেহেতু ছিল না, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। রাজের আইডি থেকে ভিডিওগুলো ছড়িয়েছে। তা ছাড়া আমার কাছে ফোন কীভাবে আসবে? ফোন তো ছিল সুনেরাহর কাছে। ১০ দিন ধরে আমার জামাইকে আটকে রেখেছে। আমি স্বাভাবিকভাবে আমার সন্তানের বাবাকে ছোট করব না। সুতরাং এগুলো প্রকাশের প্রশ্নই আসে না।’
রাজের ফেসবুক হ্যাকড হয়েছে— এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও রাজের ফেসবুক হ্যাকড হয়নি। তবে কীভাবে তার ফেসবুক থেকে এসব ভিডিও, ছবি প্রকাশ করা হয় তা রাজ নিজেও জানেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়নি, কিন্তু যেগুলো আমার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট হয়েছে দেখাচ্ছে, ওসব আসলে আমার আইডি থেকে হয়নি, এটা নিশ্চিত। কীভাবে কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।’
ভিডিওগুলো কীভাবে করা হয়েছে এর উত্তরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দিয়েছেন রাজ। তিনি বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় র্যান্ডমলি করা। হ্যাংআউট করি না, আমরা মজা করছিলাম, মজাচ্ছলে ভিডিওগুলো করা। কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সত্যি বলতে ওরা আমার কাছের বন্ধু। কোনো উদ্দেশ্যে এসব ভিডিও করা নয়। আরো ভয়ংকর কথা হচ্ছে, এসব ভিডিও ফুটেজ আমার বর্তমান ব্যবহার করা মোবাইলেও নাই। কীভাবে এসব ভিডিও ছড়াল, এটাই বড় প্রশ্ন। আমার আগের ফোনটা অনেক আগে হারিয়ে গেছে। কেউ না কেউ তো আছে, যারা এসব ভিডিও ছড়িয়েছে।’
প্রকাশিত ভিডিওতে অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি এবং সুনেরাহ বিনতে কামালকে ‘আপত্তিকর’ কথা বলতে শোনা যায়।