আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার ভালো মঞ্চ পেয়েছিলেন মুমিনুল হক, ইয়াসির আলী রাব্বী। শুধু তারাই নন, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, কাজী নুরুল সাহান সোহানদের জন্যও ছিল ভালো সুযোগ।
কিন্তু তারা কেউই ভালো করতে পারেননি। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের করা ৪৪৫ রানের জবাবে বুধবার দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৫৭ রান। প্রথম ইনিংসে ফলোঅন এড়াতে এখানো ১৩৮ রান করতে হবে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে। কাজটা খুবই কঠিন। কারণ শেষ দিকে আর কোনো ব্যাটসম্যানই নেই।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে বড় আশা ছিল মুমিনুলকে ঘিরে। কিন্তু তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। পেসার রেইফারের বলে আলগা শটে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন মুমিনুল। এর আগে মাহমুদুল হাসান জয় (৯) লেগ স্টাম্পের উপরের বল খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
জাকির হাসানকে নিয়ে অধিনায়ক সাইফ হাসান প্রতিরোধ গড়ে দলের রান এগিয়ে নিচ্ছিলেন। জাকিরের ব্যাটে বড় কিছুর আশায় ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু রান আউটে কাটা পড়ে তার ইনিংস। লং অনে বল পাঠিয়ে ফিল্ডারের কাছে বল রেখে রান নিতে চেয়েছিলেন জাকির। কিন্তু সাইফ কোনো সাড়া দেননি। অর্ধেক ক্রিজ থেকে জাকির ফেরত যাওয়ার আগে উইকেট ভাঙেন এমলিচ।
এরপর বাংলাদেশ ‘এ’ দল দ্রুত ২ উইকেট হারায়। ইয়াসির আলী রাব্বী অফস্পিনার সিনক্লিয়ারে বলে বোল্ড হন। বলের টাইমিং মিস করে বোল্ড হন ইয়াসির (৯)। আগের ম্যাচে দুই ইনিংসে ফিফটি পাওয়া শাহাদাত হোসেন দিপু এবার থেমে যান ৩ রানে। সিনক্লিয়ারের বলে টপ এজ হয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন।
ষষ্ঠ উইকেটে সাইফ ও সোহান কিছুটা ধৈর্য দেখান। বাজে বল ছাড়া তার খেলছিলেন না। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের দারুণ আক্রমণের সামনে টেকেনি তাদের ব্যাটিং। দুজনই শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। পেসার ফিলিপের লাফিয়ে উঠা বলে ব্যাট সরাতে না পেরে সাইফ ৩২ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট বল সোহান কাট করলে গালিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ম্যাকেঞ্জি। ৩৭ বলে ২৮ রান করতে সোহান ৪ চার ও ১ ছক্কা হাকান।
শেষ বিকেলে স্বাগতিকরা আর কোনো উইকেট হারায়নি। সাকিব ১৭ ও নাসুম ৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
এর আগে নাসুমের ৫ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের ইনিংস থামে ৪৪৫ রানে। আগের দিন ৩২০ রানের সঙ্গে আজ ১২০ রান যোগ করে শেষ ৪ উইকেট হারায় অতিথিরা। সিনক্লিয়ার ৬০ রানে আউট হন। জর্দানের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান।
দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ ফলোঅন এড়াতে পারেনি। তৃতীয় ম্যাচেও একই শঙ্কা। ব্যাটিংটা কোনোভাবেই ভালো হচ্ছে না চারদিনের ম্যাচে। যা ভাবনায় ফেলছে সংশ্লিষ্টদের।