ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের কর আদায়ের লক্ষ্য পূরণ চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ২০৪১ সাল এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনকে মাথায় রেখে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে চ্যালেঞ্জ অবশ্যই আছে, কালেকশনটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, আমাদের ফরেন কারেন্সি যেহেতু এক্সপোর্ট ও রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে আমাদের ফরেন কারেন্সির প্রাইসটা কোথায় পর্যন্ত যাবে, আমরা জানি না। এগুলোকে যদি আমরা ঠিক রাখতে পারি, তাহলে ভালো। বাজেটের কালেকশন যদি না হয়, তাহলে এক্সপেনডিচার তো ডিফিকাল্ট।
তিনি আরও বলেন, টার্গেট অ্যাচিভ করতে হলে এক্সপেনডিচারে যেতেই হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের কালেকশন বাড়াতেই হবে। বাড়ানোর জন্য আমরা সব সময় যেটি বলি, এক জায়গায় সীমাবদ্ধ না থেকে জাল বিস্তৃত করা। সহজে যেসব জায়গা থেকে ট্যাক্স কালেকশন করা যায়—ভ্যাট সোর্স, অগ্রিম আয়কর (এআইটি), অ্যাডভান্স ভ্যাট এগুলো কম করে বরং নতুনদের কারের আওতায় নিয়ে আসা।
জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা সব সময় বলি, সহজ পদ্ধতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। এর জন্য দরকার কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আরও যারা ট্যাক্স কালেকশন করে, তাদের কাঠামোগত সংস্কার দরকার। এবার ১৬ শতাংশ ট্যাক্স গ্রোথ আছে। কালেকশন বেশি করবে বললে আমরা ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত হয়ে যাই যে, আমাদের ওপর নাকি আসে! সব সময় তাই হয়।
তিনি বলেন, ২৪৪টি আইটেমের ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ১৯১টির ওপর রেগুলেটরি ট্যাক্স হয়েছে। আমি মনে করি, এটা ঠিক হয়নি। কারণ, তাহলে লোকাল ইন্ডাস্ট্রির প্রটেকশন কমে যায়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকসহ অভ্যন্তরীণ উৎস, বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।