জাতীয়

চাকরির আবেদন ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন 

সব চাকরির আবেদন ফি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি বাতিলসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়।

শুক্রবার (২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।

অন্য দাবিগুলো হলো-রাজধানী ঢাকাসহ প্রত্যেক বিভাগ ও জেলা শহরে পর্যাপ্ত বেকার হোস্টেল করতে হবে এবং প্রত্যেক বেকারকে বেকার ভাতা প্রদা, ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণির চাকরিতে (১১-২০ গ্রেড) পিএসসির আদলে জাতীয় নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ দিতে হবে। বেকারকে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা যৌক্তিকতার ভিত্তিতে বৃদ্ধি করতে হবে।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মো. আল কাওছার মিয়াজী বলেন, ঢাকাসহ প্রত্যেক বিভাগ ও জেলা শহরে বেকারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আবাসন সমস্যা। বেকার বা ব্যাচেলরদের বাড়িওয়ালারা বাসা ভাড়া দিতে চায় না। আর দিলেও হাজারো শর্ত জুড়ে দেয় এবং বাসা ভাড়া কয়েকগুন বেশি দিতে হয়। বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক দেশে বেকারদের জন্য বেকার হোস্টেল রয়েছে।

তিনি বলেন, বেকারদের জন্য বিশ্বের প্রত্যেক দেশে বিশেষ সুযোগ সুবিধা থাকলেও কেবল বাংলাদেশই হচ্ছে একমাত্র ব্যতিক্রম। যেখানে বেকার ভাতা তো দূরের কথা, এখানে বেকারদেরকে হেয় করে দেখা হয়। সে কারণেই প্রত্যেক বছর অনেক বেকারকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়। বাংলাদেশে যদি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বৈশাখী ভাতা ইত্যাদি চালু থাকতে পারে তাহলে বেকার ভাতা কেন নয়? তাই উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বেকার ভাতা চালু করতে হবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম সরকার বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে চাকরিতে আবেদনের কোনো ফি নেওয়া হয় না সেখানে বাংলাদেশ যেন আবেদন ফি নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি আবেদন ফি ব্যতীত পরীক্ষা নিতে পারে তাহলে অন্য ব্যাংক, মন্ত্রণালয়ে বা দপ্তরে কেন ফি নিতে হবে? সময় এসেছে পরিবর্তনের যেহেতু তাদের প্রয়োজনে তারা নিয়োগ দিবে সুতরাং পরীক্ষার ব্যয় তাদেরকেই বহন করতে হবে। 

এ সময় সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।