চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী মিডফিল্ডার ইলকে গুনদোগান রেকর্ড বাই-আউট ক্লজে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন। আজ সোমবার দুটি ক্লাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তিনি কাতালানে থাকবেন। এই সময়ের মধ্যে যদি কোনো দল তাকে দলে নিতে চায় তাহলে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে নিতে হবে। অর্থাৎ তার বাই-আউট ক্লজ রাখা হয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো। তবে তিনি যদি থাকতে চান তাহলে ২০২৫ সালের পর আরও এক বছর বার্সায় থাকতে পারবেন।
ম্যানসিটি ছেড়ে বার্সায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে গুনদোগান বলেছেন, ‘আজকের তিনটি অবশ্য তিক্ত ও মধুর। আসলে বিদায় বলাটা কখনোই সহজ কিছু নয়। কিছু কিছু দলের ক্ষেত্রে সেটা আরও কঠিন। যখন আমি গ্রুপ চ্যাটে দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমার চলে যাওয়ার খবরটি শেয়ার করি তখন আমি খুবই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। সত্যি বলতে কি আমাদের সবাইকে ভীষণ মিস করবো। তবে ভালো লাগছে এটা ভেবে যে আমি একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দল থেকে যাচ্ছি। এই ক্লাবটির জন্য আমার অফুরন্ত ভালোবাসা থাকবে। ট্রেবল জয়ী একটি দলের কয়জন ফুটবলার বিদায় বলতে পারে অধিনায়ক হিসেবে?’
‘এখানে আমি যা কিছু অর্জন করেছি সেগুলো অসাধারণ। আমার সাত বছরে পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, দুটি এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ। এগুলোতো কেবল ট্রফি। কিন্তু আমি যে জিনিসটিকে আমি আজীবন মনে রাখবো সেটা দলের দলের ভেতরকার আবেগ, বিশেষ করে এই মৌসুমে। আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা আর কখনো হয়নি।’ যোগ করেন তিনি।
এই মৌসুমে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গুনদোগানকে দলে ভেড়ালো বার্সেলোনা। মূলত লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় না আসায় এবং সার্জিও বুসকেটস দল ছাড়ায় গুনদোগানকে আনার সিদ্ধান্ত নেয় বার্সা। যাতে করে মিডফিল্ডে তাদের শক্তি বাড়ে। আগে থেকেই জাভির ঝুলিতে আছেন ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং, গাভি, ফ্রাঙ্ক কেসসিয়ে ও সার্জি রবার্তোর মতো মিডফিল্ডার।
২০১৬ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন গুনদোগান। এরপর গেল সাত বছরে তিনি ১৮৮ ম্যাচ খেলে গোল করেন ৪৪টি। ট্রফি জিতেন মোট ১৪টি। এবারের মৌসুমে স্কাই ব্লুজদের হয়ে ৫১ ম্যাচে মাঠে নেমে ১১ গোল করেন। আর ম্যানসিটিকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতান এফএ কাপ, প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ অর্থাৎ ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথম ট্রেবল।