সারা বাংলা

শহিদ কামারুজ্জামানের জন্মবার্ষিকী পালন

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২৬ জুন) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, কোরআন খতম, নগরীর সব মসজিদে দোয়া মাহফিল, মানবভোজ বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।

এদিকে, আজ বিকেলে কাদিরগঞ্জে শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর ছেলে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।

এর আগে, সকাল থেকে শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষরা। এতে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহিদ কামারুজ্জামানের সমাধিসৌধ।

শহিদ কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক শ্রদ্ধা জানায়- মহানগর আওয়ামী লীগ। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সকাল ১১টায় নগর ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর নগর ভবন থেকে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধীসৌধে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মোনাজাত করা হয়। এ সময় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, নগর ভবনে মাদরাসা ছাত্রদের মাধ্যমে কোরআন খতম, নগর ভবন ও সোনাদিঘি মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উপশহরের বাসায় কোরআন খতম ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাদ জোহর নগরীর সব মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। 

সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম।