তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়না কখনোই। বরং আদর্শের উদাহরণ টানতে তাকেই সামনে দাঁড় করানো হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ধ্রুবতারা মুশফিকুর রহিম নিজের সামর্থ্য, কাজের পরিধি ও ক্রিকেটের প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর তা নিশ্চিতভাবেই দেশের ক্রিকেটের অক্ষয় কালিতে লিখা থাকবে।
মুশফিকুর রহিমের পরিশ্রমের খবর জানেন না এমন ক্রিকেটপ্রেমি খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবার আগে অনুশীলনে নামা। সবার পর অনুশীলন শেষ করার বহু ঘটনা রয়েছে মুশফিকের। এমনও ঘটনা আছে বাড়তি অনুশীলনের জন্য মুশফিক টিম বাসে না এসে ঘন্টা দুয়েক আগে মাঠে হাজির। ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে মুশফিক দলে যোগ দেন। আবার তাঁর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে টিম বাসও।
দলের সতীর্থরা প্রায়ই বলেন মুশফিকের মতো পরিশ্রমী ক্রিকেটার বাংলাদেশে দ্বিতীয়টা নেই! কোভিডের সময় তামিম ইকবাল নিজের ইনস্ট্রাগ্রাম লাইভে জানিয়েছিলেন, পরিশ্রমের ক্ষেত্রে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো মুশফিক হতে পারেন বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারের জন্য অনুকরণীয়।
ইনস্টাগ্রাম লাইভে তামিম বলেছিলেন,‘আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রমী মুশফিক। আমি কখনো তার মতো পারবো না। আমার খেলার জন্য যতটুকু দরকার আমি ততটুকু করার চেষ্টা করি। সবাই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার উদাহরণ দেয়। কিন্তু আমাদের বেশিদূর যাওয়ার দরকার নেই। মুশফিককে দেখলেই অনেক অনুপ্রাণিত হওয়া যায় একটা মানুষ কিভাবে এত পরিশ্রম করতে পারে।’
মুশফিক এতোটা পরিশ্রম কেন করেন? উত্তর মিলল, তার আজকের ফেসবুক পোষ্টে। যেখানে নিজের ব্যাটিং অনুশীলনের ছবি দিয়ে ক্যাপশন লিখেছেন, ‘প্রতিদিন অন্তত ১ শতাংশ উন্নতির জন্য সব প্রচেষ্টা।’