লর্ডস টেস্টে জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের বন্দর তাদের কাছেই। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের জন্য সেটি দূরের বাতিঘর। যেখানে আশার আলো হয়ে জ্বলছেন বেন ডাকেট ও বেন স্টোকস। শেষ দিনে তারা দুজন ইংলিশদের ভরসার নাম। ডাকেট ৫০ ও স্টোকস ২৯ রানে অপরাজিত আছেন।
আজ রোববার পঞ্চম ও শেষ দিনে জিততে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২৫৭ রান। আর অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ৬ উইকেট।
অবশ্য জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে। এর আগে এই মাঠে কেউ ৩৪২ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি। সবশেষ ১৯৮৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৩৪২ রান তাড়া করে জিতেছিল। আর লর্ডসে ইংল্যান্ড সর্বোচ্চ ২৮২ রান তাড়া করে জিতেছিল ২০০৪ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে।
২ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করা অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিনে বাকি ৮ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহে ১৪৯ রান যোগ করতে পারে। আগের দিন ৫৮ রানে অপরাজিত থাকা উসমান খাজা ৭৭ রান করে আউট হন। আর ৬ রান নিয়ে থাকা স্টিভেন স্মিথ ৩৪ রানে ফেরেন সাজঘরে।
দলীয় ১৮৭ রানে খাজা ও ১৯০ রানে স্মিথ আউট হওয়ার পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে অজিরা। কেউ হাল ধরতে পারেননি।
খাজা-স্মিথের পর ত্রাভিস হেড ৭ রানে, ক্যামেরন গ্রিন ১৮ রানে, আলেক্স ক্যারি ২১ রানে, প্যাট কামিন্স ১১ রানে, জশ হ্যাজলেউড ১ রানে ও নাথান লায়ন ৪ রানে আউট হন। মিচেল স্টার্ক অবশ্য ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০১.৫ ওভারে ২৭৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। তাতে তাদের মোট লিড হয় ৩৭০ রানের।
বল হাতে ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড ৪টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন জশ টাং ও অলি রবিনসন।
৩৭১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। ৯ রানের মাথায় জ্যাক ক্রাউলিকে (৩) হারায় ইংল্যান্ড। মিচেল স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
১৩ রানের মাথায় ফেরেন অলি পোপ (৩)। তাকে সরাসরি বোল্ড করেন স্টার্ক। জো রুট ও বেন ডাকেট কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৪১ রানের মাথায় ভাঙে এই জুটি। প্যাট কামিন্সের বলে পয়েন্টে পুশ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ওয়ার্নারের হাতে ধরা পরেন জো রুট। ফেরেন ১৮ রান করে। আর ৪৫ রানের মাথায় নতুন ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক (৪) কামিন্সের বলে বোল্ড হয়ে যান।
সেখান থেকে ডাকেট ও স্টোকস প্রতিরোধ গড়ে দিন শেষ করে আসেন। পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন অবিচ্ছিন্ন ৬৯ রান তোলেন।
প্রথম টেস্টে লড়াই করে হার মানা ইংল্যান্ড লর্ডস টেস্টেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারে কিনা দেখার বিষয়।