নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে গতকাল সোমবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে আনা হয়েছে। কাশিমপুর কারাগারে তিনি ‘রাইটারের’ পদ থাকলেও কুমিল্লা কারাগারে পাপিয়াকে ‘নকশিকাঁথা সেলাই ও ঝাড়ুদার’ হিসেবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: হাজতিকে নির্যাতন: কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হলো পাপিয়াকে
কারাগারের সূত্র জানা যায়, গাজীপুর থেকে গতকাল রাতে কুমিল্লা কারাগারে আনার পরই পাপিয়াকে নারী ওয়ার্ডে রাখা হয়। ঝাড়ু দেওয়া এবং নকশিকাঁথা সেলাই করার কাজ নির্ধারিত রয়েছে তার জন্য। আর জেলকোড অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য কাজ করা বাধ্যতামূলক। নকশিকাঁথা সেলাই কিছুটা কঠিন হওয়ায় শুরুতেই বন্দিদের ঝাড়ুদারের কাজ দেওয়া হয়। এ কারণেই পাপিয়া এই কাজ পেয়েছেন।
কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘জেলবিধি অনুযায়ী তাকে (পাপিয়া) দায়িত্ব দেওয়া হবে। সোমবার তিনি আমাদের এখানে এসেছেন। তার প্রতি বিশেষ নজরে রাখা হবে।’
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মফিজুর রহমান ও পাপিয়া দম্পতিকে আটক করা হয়। অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।