খেলাধুলা

শরিফুলের প্রত্যাবর্তনে হাথুরুসিংহের বিশেষ কাজ

তার হাসি যেন থামছেই না। প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হাসছেন, আবার কখনো প্রশ্ন শুনে হাসছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি হয়ে আশা শরিফুল ইসলামকে আর মাঠে আফগান বধের অন্যতম নায়ক শরিফুল ইসলাম যেন আলাদা।

লাইন-লেন্থ মেনে দারুণ গতি, অসাধারণ খিপ্রতার সঙ্গে আগ্রাসী বোলিংয়ে শুরুতেই আফগানিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন শরিফুল। সবমিলিয়ে ৯ ওভারে ২১ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। আফগানিস্তান অলআউট হয় ১২৬ রানে। ১৫৯ বল হাতে রেখে বাংলাদেশ জয়ের হাসি হাসে ৭ উইকেটে।

২০২১ সালে অভিষেক হওয়া এই পেসার মাঝে বাদ পড়েছিলেন বাজে বোলিংয়ের কারণে। এরপর দলে ফিরলেও ছিলেন অনিয়মিত। সবশেষ খেলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে। আফগানদের বিপক্ষে সুযোগ পান তৃতীয় ম্যাচে। এসেই যেন জ্বলে উঠলেন এই পেসার।

নিজের ফেরা নিয়ে জানান প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কাজ করেই পেয়েছেন আলোর দেখা, ‘হাথু স্যার (হাথুরুসিংহে) বিশেষভাবে আমাকে নিয়ে বাড়তি কাজ করেছেন। আমি যখন বাসায় ছিলাম, তখন তিনি বোলিংয়ের অনেক ড্রিলের ভিডিও দিয়েছিলেন। আমি ওভাবেই করছিলাম। অনুশীলনে কাজ করতে করতে আজকে ম্যাচে প্রয়োগ করেছি। কাজ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।’

পেস বোলিংয়ের অন্যতম উপাদান আগ্রাসন। আজ সেটাই করে দেখিয়েছেন শরিফুল। বুনো উদযাপন, সঙ্গে বাঁধনহারা উল্লাস। উইকেট নিয়েই লম্বা দৌড়, শরিফুলকে যেন আর পায় কে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের অধরা জয় থেকে শুরু করে শরিফুলের আগ্রাসী প্রত্যাবর্তন, নাটকীয় এই সময় প্রয়োজন ছিল একটা জয়।

‘ভাল লাগছে। কিছু করতে পারলে অবশ্যই সবার ভাল লাগে। আমাকে পুরো দল সাপোর্ট করছে তাই ভাল পারফর্ম্যান্স হয়েছে। বিশেষ করে মুশফিক ভাই। উনি আমাকে বারবার ই বলছে ভাল করতে হবে’-অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে এভাবে বলেছেন তিনি।

নিজের আগ্রাসী উদযাপন নিয়ে শরিফুলের ব্যাখ্যা, ‘জেদ ছিল না। আমি অনুশীলনে যেমন চেষ্টা করছিলাম ম্যাচেও তেমনি চেষ্টা করেছি। বডি ল্যাংগুয়েজটা চলে আসে। ড্রেসিং রুমে গিয়ে ভাবি যে এমন করা যাবে না। কিন্তু তবুও অটোম্যাটিক চলে আসে।’

শরিফুল বোলিংয়ের কোটা শেষ করতে পারলে হয়তো ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার হয়ে যেতো। কিন্তু ক্র্যাম্পের কারণে সেটা হয়নি। আছে সেই আক্ষেপও।

‘চেষ্টা তো ছিল কিন্তু দেখছিলাম ক্র্যাম্প করছে। আামি যদি জোরে বল করতাম, ইনজুরিতে পরতে পারতাম। এদিকে লুজ বল হলে বাউন্ডারি হয়ে যেত। তো আমি চেষ্টা করেছি। তো আমি চিন্তা করেছি আমার দলের ভাল একজন বোলার যে শতভাগ দিতে পারবে, তবুও আমি চেষ্টা করেছি।’