সংবাদ সম্মেলন শেষে হনহন করে ছুটলেন সাকিব আল হাসান। মুখ-কপাল ঘামে নেয়ে একাকার। দলের জয়ের শেষ পর্যন্ত ছিলেন মাঠে, এরপর পুরস্কার বিতরণী, এরপর সংবাদ সম্মেলন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে সাকিব সবকিছু সামাল দিয়েছেন অলরাউন্ডারের মতোই।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিলেটে সিরিজ জয়ের পর সাকিবের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো টি-টোয়েন্টি মোমেন্টামের কথা। হবেই না কেন, এ বছর যে আর কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ নেই বাংলাদেশের।
সাকিব বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি মোমেন্টাম খুব গুরত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত মোমেন্টাম ভালো আছে। এরপর কবে টি-টোয়েন্টি কবে জানিও না। আশা করি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে হবে বিপিএলের পরপর।’
বিপিএল থাকায় আশা দেখছেন সাকিব। তিনি মনে করেন বিপিএলের পর দেশীয় ক্রিকেটাররা ছন্দে থাকেন। ‘বিপিএলের পরপর আমাদের দেশীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ভালো থাকে। আমি হোপফুল যে বিপিএল টা হবে ওখানে যারা পারফর্ম করে ওদেরকে নিয়ে আমরা সামনের দিকে আগাবো। আমরা ভালো রেজাল্টগুলো করতে থাকবো।’
প্রথম ম্যাচে ২ উইকেটে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে এলো বড় জয়। আফগানিস্তান ১৭ ওভারে ১১৬ রান করে। বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১৯। ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লাল সবুজের দল। দারুণ শুরুর পর মাত্র ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপাকে তখন সাকিব সামাল দেন হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে। হৃদয় আউট হয়ে গেলেও সাকিব অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে। সঙ্গে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। শুধু তাই নয় দুই ম্যাচে ৩৭ রান ও ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব হয়েছেন সিরিজ সেরাও।
সাকিব মনে করেন আফগানদের বিপক্ষে এই জয় ভবিষ্যতে দলকে আত্মবিশ্বাস দেবে, ‘অবশ্য ভালো লাগছে। কারণ ওদের সঙ্গে টি-টয়েন্টিতে খুব ভালো রেজাল্ট ছিল না এর আগ পর্যন্ত। যেহেতু এরকম কন্ডীশনে ওদের সঙ্গে একটি সিরিজ জিততে পারলাম, আমার কাছে মনে হয় এটা আমাদেরকে সামনের দিকে আত্মবিশ্বাস দেবে ভালো ফলের জন্য।’
চলতি বছর বাংলাদেশ ৩ টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে প্রত্যেকটিতেই জিতেছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের পর এবার আফগানিস্তান। এর আগে কোনো বছরে সবগুলো ম্যাচ জয়ের কোনো রেকর্ড নেই। অধিনায়ক সাকিবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে নতুন দিনের যেন বার্তা দিলো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।