খুলনায় নারী ফুটবলারদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগ। শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ নারী সেলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীল।
বক্তারা বলেন, নারী ফুটবলারদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনার মামলায় চারজনকে আসামি করা হলেও একজন মাত্র জেল হাজতে রয়েছেন। বাকি তিনজন জামিনে মুক্ত হয়ে খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি এসিডে মুখ ঝলসে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে। এতে খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আরও পড়ুন: এবার নারী ফুটবলারদের উপর এসিড নিক্ষেপের হুমকি
জনউদ্যোগ খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় এস এম সোহরাব হোসেন, এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, নাসরীন হায়দার, দিপালী দাশ, আলী রাজ, এম এ বাতেন, বিধান চন্দ্র রায়, অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান পলাশ ও নিপা সুলতানা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বটিয়াঘাটা উপজেলার চার নারী ফুটবল খেলোয়াড়কে বিভিন্নভাবে শরীরিক নির্যাতন চালায় নুরুল আলম খাঁ, তার স্ত্রী রঞ্জি বেগম, মেয়ে নূপুর খাতুন ও ছেলে সালাউদ্দিন খাঁ। হাত-পা বেঁধে রাখার দুই ঘণ্টা পর ফুটবলার মঙ্গলীকে উদ্ধার করে স্থানীয় তেঁতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রশিক্ষণরত সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির কর্মকর্তরা। এই ঘটনায় সাদিয়া নাসরিন ৩০ জুলাই চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ১ আগস্ট সাদিয়া নাসরিন বটিয়াঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ।