একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থতা। সেই আকাশে হুট করে পাওয়া এক ফিফটিতে সাফল্যের সূর্যর দেখা মিলেছিল। এরপর আবার সেই আঁধার। প্রথমবার কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে গিয়ে ব্যর্থতার চাদরে মুড়ে গিয়েছেন লিটন দাস।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে টি–টোয়েন্টির দাবি মেটাতে না পারা বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক–ব্যাটসম্যান ফাইনাল ম্যাচেও ছিলেন ব্যর্থ। বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ১৩ বলে করেছেন ১২ রান। গোটা আসরে সারে জাগুয়ার্সের হয়ে ৭ ইনিংসে তার রান ছিল কেবল ১৫২। গড় রান মাত্র ২১.৭১। আর স্ট্রাইক রেট ১০০.৬৬। আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে এদিক-ওদিক উড়াল দেন তাদের কাছে এই পরিসংখ্যান স্রেফ বেমানান।
সেজন্য নির্দ্বিধায় বলা যায়, লিটনের টুর্নামেন্ট হতাশাতেই শেষ হলো। সঙ্গে বিদেশের মাটিতে শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপও রয়ে গেল। এর আগে সিপিএল এবং আইপিএলে একবার করে অংশ নিলেও শিরোপা পায়নি তার দল।
সোমবার সারে জাগুয়ার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে মন্ট্রিয়ল টাইগার্স। শেষ বলে আন্দ্রে রাসেলের বিশাল ছক্কায় প্রথমবার শিরোপা জিতেছে মন্ট্রিয়ল। এই দলের হয়ে ৪ ম্যাচ খেলে সাকিব উড়াল দেন শ্রীলঙ্কায়। এলপিএলে না খেললে হয়তো সাকিবের ঝুলিতে আরেকটি টি-টোয়েন্টি শিরোপা যোগ হতো।
অনেক বড় প্রত্যাশা নিয়ে কানাডায় উড়াল দিয়েছিলেন লিটন। কিন্তু টুর্নামেন্টের শুরু থেকে বিবর্ণ তার ব্যাট। প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও পূরণ করতে পারেননি। ৯ রানে শুরু হয়েছিল তার কানাডার মিশন। এরপর ২১ ও ২৫ রানে থেমে যায় পরের দুই ইনিংস।
চতুর্থ ইনিংসে ৫৯ রান করে দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ১২৯ রান তাড়ায় ৪৫ বলে ৫৯ রান করেন। ৩টি করে চার ও ছক্কায় সাজানো ইনিংসটিতে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের তারকা ব্যাটসম্যান এরপর দলের হাল ভালোভাবেই ধরবেন।
কিন্তু পরের তিন ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন লিটন। ১০, ১৬-র পর ফাইনালে তার রান ১২। রানের সংখ্যাটাই বলে দেয় এই প্রতিযোগিতায় লিটনের সময় কতটা বাজে গিয়েছে।