মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ওয়ানডে দলে থাকছেন কি থাকছেন না এটা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা হচ্ছিল। সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ থাকায় এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নিয়ে আরও বেশি কথা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত জানা গেলো এশিয়া কাপের জন্য গড়া ১৭ জনের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। শুধু মাহমুদউল্লাহ নন, জায়গা পাননি আফিফ হোসেন ধ্রুবও।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমে সাত নম্বর পজিশন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফরা আছেন অতিরিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে। এ দুজন ছাড়াও অতিরিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে বিসিবি সভাপতি শামীম হোসেন পাটোয়ারি-মোসাদ্দেক হোসেনের নামও বলেছেন।
অতিরিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে মাহমমুদউল্লাহদের নাম জানিয়ে বিসিবি সভাপতির ভাষ্য, ‘অ্যাডিশনাল প্লেয়ার হিসেবে ডেফিনিটলি আমি মনে করি আফিফ আছ, মাহমুদউল্লাহ আছ, শামীম পাটোয়ারি আছে। ১৭ জনের (বাইরে এরা)। আমারতো ১৭ (জনের স্কোয়াড) শেষ। আমারতো ১৭ শেষ আগেই। তারপরও আপনাদের বলছি। আপনারা যে কারে বাদ দিতে চাচ্ছেন আমি জানি না। আপনারা যে বলেন নামগুলো, কেন বলেন আমি বুঝি না। আপনারা যখন বলেন নামগুলো বুঝি না কেন বলেন।’
মাহমদুউল্লার প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি শেষ দুই সিরিজে খেলা ক্রিকেটারদের নাম বলে বলে সংবাদকর্মীদের পালটা প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনারা যত অপশন দেখেন আমি কিন্তু দেখি না। এটা খামাখা একটা কনফিউশন তৈরি করা। বা মন খারাপ, বোর্ডের সাথে প্লেয়ারদের খারাপ (সম্পর্ক) এগুলা করার আমি কোনো কারণ দেখি না।’
বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর মাহমুদউল্লাহ ওয়ানডে সংস্করণ থেকে বাদ পড়েন। এই সিরিজে পারফরম্যান্স ভালো ছিল না মাহমুদউল্লহার। তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান। এ ছাড়া ফিল্ডিংয়েও সেরাটা দিতে পারেননি। হাত ফসকেছে ক্যাচ। এরপর হোম-অ্যাওয়েতে আয়ারল্যান্ড সিরিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজে ব্রাত্য ছিলেন তিনি। বিসিবি সভাপতির বক্তব্য অনুযায়ী জায়গা হচ্ছে না এশিয়া কাপের স্কোয়াডেও।
এদিকে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়া আফিফ হোসেন ডাক পেয়েছিলেন এক সিরিজ পরেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ঢাকা লিগে ১৩ ইনিংসে ৫৫ গড়ে ৫৫০ রান করা আফিফ আফগানিস্তান সিরিজে ছিলেন ব্যর্থ। প্রথম ওয়ানডেতে ৪ রানের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফেরেন শূন্যরানে। তৃতীয় ম্যাচে নামতে হয়নি।
দল গঠন প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি এক প্রশ্নে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যদি আমি মেইন দলে না খেলাই, তাহলে এক সিদ্ধান্ত। আমি নিয়ে যাবো কিন্তু খেলাবো না। কিন্তু কিছু প্লেয়ার আছে তাদেরকে নিলেই খেলাতে হবে। তাহলে বাদটা দেবে কারে? আমি বলছি সিদ্ধান্তটা এত সহজ না। এটা কঠিন করার কিছু নেই। বিশ্বাস রাখেন, দলের উপরে। আমি মনে করি আমাদের যে দলই খেলে ভালো খেলবে।’
আগামীকাল এশিয়া কাপের দল ঘোষণার শেষ দিন। এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হবে এশিয়া কাপের স্কোয়াড। বাংলাদেশ দল ২৪ তারিখ পর্যন্ত ক্যাম্প করবে মিরপুরে। ২৬ আগস্ট এশিয়া কাপ খেলার লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা যাবে সাকিব আল হাসানের দল। ৩১ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ক্যান্ডিতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। পরের ম্যাচ খেলতে আবার উড়াল দিতে হবে পাকিস্তান। লাহোরে সেই ম্যাচটি হবে ৩ সেপ্টেম্বর।