সেবার অনাকাঙ্খিতভাবে নেতৃত্বের ভার পেয়েছিলেন। ছিলেন দেশের বাইরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে মাশরাফি বিন মুর্তজা ইনজুরিতে পড়লে সাকিবের কাঁধে নেতৃত্বের ভার। তখন টেস্ট ও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের একজনই অধিনায়ক। লম্বা সময় সাকিব ছিলেন বাংলাদেশের নেতা। এরপর নানা সময়ে নেতৃত্বে পালাবদল হয়েছে। সাকিবও অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। আবার হারিয়েছেন। সময়ের পালাবদলে সাকিব আবার বাংলাদেশের অধিনায়ক।
এবার শুধু এক ফরম্যাট নয়, তিন ফরম্যাটেই দলনেতা বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। দলের সেরা এই তারকার নেতৃত্বে ২০২৩ বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাবে বাংলাদেশ। ২০১১ বিশ্বকাপের পর সাকিব আবার বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। এর আগে, কেবল মাশরাফি দুইবার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
প্রথমবার দায়িত্ব পাওয়ার মতো এবার সাকিব দেশের বাইরে। শ্রীলঙ্কায় সাকিব খেলছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। চার ম্যাচ পর জয় পেয়েছে তার দল গল টাইটান্স। জয়ে সাকিব বল হাতে অবদান রেখেছেন। ১৩ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট। তবে ব্যাট হাতে তার খারাপ সময় চলছেই। আজ থেমেছেন মাত্র ২ রানে। তবুও দল জয় পাওয়ায় তৃপ্তির হাসি ফিরেছে তার মুখে।
ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টারের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত ওয়ানডে অধিনায়ক নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
সাকিব বলেছেন, ‘অধিনায়কত্ব আমার জন্য নতুন কিছু নয়। গত চার বছরে আমরা কতটা ভালো হয়েছি সেটা দেখানো আমাদের দলের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ…এই বিশ্বকাপে আমাদের ভালো করার একটা বড় সুযোগ হবে। আমি মনে করি আমরা খুব ভালো দল। আমরা সাদা বলের ফরম্যাটে সত্যিই ভালো খেলছি, তাই সময় এসেছে সবাইকে দেখানোর যে আমরা কতটা ভালো।’
২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব ছিলেন উড়ন্ত। ব্যাট হাতে ৬০৬ রানের সঙ্গে বল হাতে পেয়েছিলেন ১১ উইকেট। এবার নিশ্চিতভাবে নিজের পুরনো অর্জনকে ছাড়িয়ে যেতে চাইবেন। তবে তার কাছে ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়ে দলগত অর্জনই সবচেয়ে বড়। এজন্য শেষ চার বছরে যে ধারাবাহিক ক্রিকেট ওয়ানডেতে খেলছে বাংলাদেশ তা বিশ্বমঞ্চে ফুটিয়ে তোলাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন এই সংস্করণে ৫০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া সাকিব।