লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) ফাইনালে উঠার দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের দল গল টাইটাইন্স। দুই ম্যাচেই ফ্লপ বাংলাদেশের তারকা দুই ক্রিকেটার।
জিততে পারেনি তাদের দল গল টাইটান্সও। শনিবার কলম্বোতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বি-লাভ ক্যান্ডি ৩৪ রানে হারিয়েছে গল টাইটান্সকে। আগে ব্যাটিং করে ক্যান্ডি ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে। জবাবে গল ৮ উইকেটে ১২৩ রানের বেশি করতে পারেনি। রোববার প্রতিযোগিতার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ডাম্বুলা আউরা।
সাকিব বোলিংয়ে নিজের ছাপ রাখলেও ব্যাটিং ছিলেন একেবারেই অগোছালো। ফাইনালে উঠার শেষ লড়াইয়েও পারেননি দলকে জেতাতে। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৪ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ১৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করে আউট হন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন সাকিব। ওখানে দায়িত্বশীল ইনিংস প্রত্যাশা করছিল তার দল। কিন্তু স্পিনার আরাকচিগের বল মিড উইকেটে উড়াতে গিয়ে ধরা পড়েন মোহাম্মদ হারিসের হাতে।
এদিকে চরম অফফর্মে থাকা লিটস দাস আজ শুরুটা ভালো করেছিলেন। স্পিনার মুজিব-উর-রহমানকে এক ওভারে তিন চার মেরে ভালো কিছুর আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ডানহাতি ব্যাটসম্যান নিজের ভুলে বিসর্জন দিয়ে আসেন উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার চতুরঙ্গ ডি সিলভার বল প্রথমে লেগ স্টাম্পে সরে, পরে অফস্টাম্পের বাইরে গিয়ে উইকেট ওপেন রেখে সুইপ করতে গিয়েছিলেন। চতুরঙ্গ নিজের পরিকল্পনায় ছিলেন স্থির। বল রেখেছিলেন স্টাম্পে। লিটন বল মিস করে বোল্ড হন ২৫ রানে। ১৯ বলে এই ইনিংসটি সাজানোর পথে চারটি চার মারেন এই ব্যাটসম্যান। গল শিবিরে শেষ দিকে যোগ দেন লিটন। ৩ ম্যাচে মাত্র ৩৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। গড় রান ছিল ১১.৩৩।
সাকিবও গোটা প্রতিযোগিতায় ব্যাটিংয়ে ভুগেছেন। ১০ ম্যাচ খেললেও রান করেছেন মাত্র ১৩৮। ১ ম্যাচে ছিলেন অপরাজিত। সর্বোচ্চ রান ৩০, স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৫। বোলিংয়ে তার ইকোনমি ছিল দুর্দান্ত। ৫.৭০ ইকোনমিতে ১০ ম্যাচে তার শিকার ১০ উইকেট।
সাকিব লিটনের দুজনেরই এবার অভিষেক হলো লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ। ব্যর্থতায় শেষ হলো তাদের লঙ্কা মিশন। সামনেই আবার দুজনকে জাতীয় দলের জার্সিতে উড়াল দিতে হবে দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে ভালো কিছুর আশায় নিশ্চিতভাবেই বুক বাঁধবে সমর্থকরা।
এদিকে ক্যান্ডিকে ফাইনালে তোলার নায়ক ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। ব্যাট হাতে ৩০ বলে ৪৮ রানের পর বল হাতে ২১ রানে ২ উইকেট নেন এই স্পিন অলরাউন্ডার।