নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্পেনের খেলোয়াড় জেনি এরমোসোকে চুমু দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) প্রধান লুইস রুবিয়ালেস। তবে এহেন কাণ্ডে কোনোপ্রকার বিকার নেই তার। ক্ষমা চেয়েই চুপসে গেছেন তিনি।
এই কাণ্ডের পর স্পেন সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিনিয়ত সমালোচিত হচ্ছেন রুবিয়ালেস। দাবি উঠেছে তার পদত্যাগের। তবে তিনি পদ ছাড়তেও রাজি নন। কিন্তু ফুঁসে উঠেছেন স্পেনের খেলোয়ায়ড়রা। তারা সোজা ঘোষণা দিয়েছেন, রুবিয়ালেস বহাল তবিয়তে থাকতে তারা আর স্পেনের হয়ে খেলবেন না।
বিতর্কিত ওই ঘটনার প্রেক্ষাপটে শুক্রবার আরএফইএফ এক জরুরি সভা ডাকে। সেখানে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন রুবিয়ালেস। দায়িত্ব না ছাড়ার পাশাপাশি দাবি করেন, তিনি সামাজিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি।
৪৫ বছর বয়সী রুবিয়ালেস দাবি করেছেন, একদল ভুয়া নারীবাদী তার চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন। তার দাবি, চুমুর ঘটনাটি পারস্পরিক সম্মতিতে হয়েছে। একই সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি।
ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘দুজনের সম্মতিতে ঘটা একটি ঘটনা কি আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেবে? আমি পদত্যাগ করবো না। আমি শেষ পর্যন্ত লড়বো।’
ওইদিকে রুবিয়ালেসের বক্তব্যকে মিত্থ্যা বলছেন এরমোসো। এরমোসো জানিয়েছেন, সভাপতির বক্তব্য সত্য নয়। বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, চুমুতে তার কোনোপ্রকার সম্মতি ছিল না। এরমোসো বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার করতে চাই যে, ওই চুমুতে কখনোই আমার সম্মতি ছিল না। আমি যা বলিনি, তেমন কিছু ছড়ানো হলে সহ্য করবো না।’
একই সঙ্গে দলের সবাই জানিয়েছেন, রুবিয়ালেস পদত্যাগ না করলে স্পেনের হয়ে আর খেলবেন না তারা। নারী ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রো’র এক বিবৃতিতে তারা লিখেছেন, “নারী বিশ্বকাপে পদক দেওয়ার সময় যা কিছু হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে চাই যে, বর্তমান বোর্ড সভাপতি দায়িত্বে থাকলে এই চিঠিতে যারা সই করেছে তারা জাতীয় দলে ফিরবে না।”
বিশ্বকাপ জয়ের পর আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্রথম মাঠে নামবে স্পেন দল। নেশন্স লিগে সুইডেনের বিপক্ষে খেলবে তারা। চুমুর ঘটনায় এই ম্যাচে স্পেনের অংশগ্রহণ নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।