খেলাধুলা

তামিমের অভিজ্ঞতাকে মূল‌্যায়ন সাকিবের

সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সাকিব আল হাসানের পেছন পেছন ঢুকেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কোচ ও অধিনায়ক ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আলাদা করে লম্বা সময় কথা বলছিলেন। সেসবের সারাংশ কেবল অনুমান করে বলা যায়, এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ। তবে দুজনের অবয়ব বলছিল, আলোচনার বিষয়বস্তু আরো গভীর! সেসবের ছিটেফোঁটাও অবশ‌্য ২০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে দুজনের কেউ বুঝতে দেননি। বরং গণমাধ‌্যমের সহজ সরল প্রশ্নে দুজনের কণ্ঠে ছিল নমনীয়তা।

এ পাশ থেকে কোনো বাউন্সার যায়নি। ওপাশ থেকে ডাকও হয়নি। অবশ‌্য শুরুতেই সাদা পতাকা শুরুতে তুলে দিয়েছিলেন মিডিয়া ম‌্যানেজার রাবীদ ইমাম, ‘এই সংবাদ সম্মেলনে কোচ ও অধিনায়ক উপস্থিত হয়েছেন শুধুমাত্র এশিয়া কাপের ব্যাপারে কথা বলার জন‌্য। এর বাইরে কোনো প্রশ্ন নেওয়া হবে না।’ বোঝা যাচ্ছিল, মাঠের বাইরে যেসব বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে সেসব ঘরের ভেতরে টেনে পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছেন না কোচ-অধিনায়ক কেউই।

এসবের ভিড়ে মাঠে ফেরার লড়াইয়ে থাকা তামিম ইকবালের ইস্যুটা একদমই আলাদা। দল যখন এশিয়া কাপের মিশনে তামিম তখন নেটে, মাঠে নিজের ফিটনেস ফিরে পেতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এশিয়া কাপ মিস করা তামিম বিশ্বকাপের আগে নিউ জিল‌্যান্ড সিরিজে ফিরতে মুখিয়ে। এরপর খেলতে চান বিশ্বকাপও। তবে এর আগে দেশের ক্রিকেটে প্রলয়ঙ্কারী ঝড় বইয়ে দেন তামিম। আফগানিস্তান সিরিজে প্রথম ওয়ানডের পর অবসর নেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে।

একদিন পরই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে মাঠে ফেরার ঘোষণা দেন। তবে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ‘অবসর ভেঙে তামিমের ফেরা কতটা স্বস্তির’-এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তামিমের কাঁধ থেকে নেতৃত্বভার পাওয়া সাকিবকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিমকে পাওয়ার ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন।

সাকিব বলেন, ‘যে কোনো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দলে তারা কতটা অবদান রাখতে পারে, এটার ওপর অবশ্যই নির্ভর করে সবকিছু। তবে অবশ্যই অভিজ্ঞতার তো একটা দাম আছে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে থাকলে কন্ডিশন কিংবা বড় বড় টুর্নামেন্ট সম্পর্কে যখন অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে, জিনিসটা অনেক সহজ হয়ে যায়, বিশেষ করে যারা নতুন দলে আসে তাদের জন্য।’

২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকপে তামিম-সাকিবের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপর ২০১১, ২০১৫ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপেও খেলেছেন একসঙ্গে। অনেকটা পথ পেরিয়ে দুজন এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে যেখানে ভারত বিশ্বকাপই হতে পারে দুজনের শেষ বিশ্বকাপ। লম্বা সময় পেরুনো সাকিব এবার তাই আগের আসরগুলোর থেকে ভালো করার সম্ভাবনাও বেশি দেখছেন।

বিশ্বসেরার কণ্ঠে ভালো কিছুর সম্ভাবনাই ফুটে উঠলো, ‘যেহেতু অনেক বড় অভিজ্ঞতা আছে, আমার কাছে মনে হয় ওই দল(আগের আসরগুলো) থেকে এই দল অনেক ভালো। এজন‌্য আমাদের ভালো করার সম্ভাবনাটাও অনেক বেশি। প্রত‌্যাশা করব যে, আমি যেন ওই রকমই কিছু একটা করতে পারি।’