কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ফুল খুবই সম্ভাবনাময় ফসল।এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষ বাড়ছে। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদাও বাড়ছে। সারা বিশ্বে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের ফুলের বাজার রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বাজার ধরার মতো আমাদের সুযোগ রয়েছে। সে সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেড়িবাঁধে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত পাইকারি ফুলের আধুনিক বাজার ও প্রসেসিং সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি সামনে আরও বিকশিত হবে। সেখানে ফুল বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে। সেজন্য, ফুলের উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তার ব্যাপক সম্প্রসারণ করতে হবে।
তিনি এ সময় বিজ্ঞানী ও উদ্যানতত্তবিদদের দ্রুত ফুলের আধুনিক জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের নির্দেশ দেন।
পাইকারি ফুলের বাজারকে কৃষি বিপণনের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই বাজারকে আধুনিক ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। কোনো রকমের অব্যবস্থাপনা যাতে না হয়, সেদিকে কঠোরভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
টাকা পাচাররোধে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে দেশে ডলারের কিছু ঘাটতি চলছে। এই ঘাটতির পিছনে একদিকে রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি। অন্যদিকে রয়েছে দেশের ভূমিদস্যু, কিছু ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী-যারা অর্থপাচারের মাধ্যমে দুবাই, কানাডা, মালয়েশিয়ায় বাড়ি কিনেছেন ও সম্পদের মালিক হয়েছেন।
তিনি বলেন, ভূমিদস্যু, কিছু ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী অর্থপাচার করে দিনে দুপুরেই দেশটাকে ডাকাতি করছে। এদেরকে রুখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু এদেরকে মোকাবিলা করা খুবই কঠিন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র এর সাথে জড়িত। সেজন্য, যারা অর্থপাচার করে, সম্পদ লুটে বিদেশে নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চায়, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এদের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সাবেক মাসুদ করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সভাপতি বাবুল প্রসাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশে ১৫০০ কোটি টাকার ফুলের বাজার রয়েছে, যেখানে ১৫ লাখ মানুষ নিয়োজিত। কিন্তু দেশে কোনো ফুলের বাজার ছিল না।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্মিত এই পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীরা আধুনিক সব সুবিধা পাবেন ও প্রসেসিং করে বিদেশেও পাঠাতে পারবেন।