স্কোর: বাংলাদেশ ৩৩৪/৫ (৫০ ওভার), আফগানিস্তান ২৪৫/১০ (৪৪.৩)
ফল: ৮৯ রানে জয় বাংলাদেশের।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। এশিয়া কাপে নিজেদের অস্তিত্ব, বাঁচা-মরার লড়াই ছিল। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান যারা মাস খানেক আগে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে ২-১ ব্যবধানে। বিরুদ্ধ সময়। সঙ্গে যোগ হয়েছিল প্রথম ম্যাচে বাজে ভাবে হার। তাই তো মনোবল আরো নড়বড়ে। সঙ্গে কলম্বো টু লাহোর সফরের ঝাক্কি। সব মিলিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতি। কিন্তু সব ছাপিয়ে শতভাগ নিবেদন দেখিয়ে, জয়ের তীব্র তাড়না নিয়ে মাঠে নেমে হিসেব পাল্টে দিল বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানকে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে যাওয়ার লড়াইয়ে নিজেদের জায়গা পাকা করলো সাকিব অ্যান্ড কোং। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান দুইয়ে। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার শেষ ম্যাচে তাকিয়ে না থাকলেও চলবে। হিসেব তাই বলছে। তবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে দলকে।
টেবিলে বাংলাদেশ এখন দুইয়ে। শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা শেষ ম্যাচে জিতে গেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা যাবে সুপার ফোরে। আর আফগানিস্তান বিশাল ব্যবধানে যদি জয় পায় (যেমনটা ১০০ বা ততোধিক কিংবা ১৫ ওভার হাতে রেখে) তাহলে শ্রীলঙ্কাকে টপকে তারা যাবে সুপার ফোরে। বাংলাদেশের অবস্থান তাই সুনিশ্চিত।
মিরাজের লাকি সেভেন
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তমবারের মতো ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ ওপেনিংয়ে নেমে অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৪১ রানে নেন ১ উইকেট। তাতে ম্যাচ জয়ের পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। এর আগে ভারতের বিপক্ষে দুইবার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনবার ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একবার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন মিরাজ।
বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত জয়
৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৫ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান গুটিয়ে গেছে ২৪৫ রানে।
আফগান কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলেন তাসকিন
তাসকিনের শর্ট বল উড়াতে চেয়েছিলেন রশিদ খান। কিন্তু আগের মতো টাইমিং মেলাতে পারেননি। মিড অফে দাঁড়ানো সাকিব বল ধরতেই উল্লাস বাংলাদেশ শিবিরে। ৮৯ রানে জয় বাংলাদেশের। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে আজ জয়ের বিকল্প ছিল না। সঙ্গে রান রেটও বাড়িয়ে নেওয়ার কাজ ছিল। বিশাল জয়ে সবপূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের।
হিট উইকেটে বিদায় মুজিব
এভাবেও আউট হতে হয়! কপাল! মুজিব নিশ্চয়ই এমন কিছুই বলেছেন নিজেকে নিয়ে। তাসকিনের বল মিড উইকেট দিয়ে বিশাল ছক্কা উড়ালেন। কিন্তু তার পেছনের পা আঘাত করে স্টাম্পে। পড়ে যায় বেলস। হিট উইকেট হয়ে মুজিব ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। বাংলাদেশ জয়ের থেকে ১ উইকেট দূরে।
এনামুলও রাখলেন অবদান
সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙে করিম জানাতকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখালেন এনামুল হক বিজয়। বাংলাদেশের অতিরিক্ত এ খেলোয়াড় আজ শুরু থেকে ফিল্ডিং করছিলেন। আবার কখনো তাকে পানি টানতেও দেখা যায়।
৪২তম ওভারে মিড অনে ফিল্ডিং করছিলেন এনামুল। তার হাতে বল পাঠিয়ে রান নিতে চেয়েছিলেন জানাত। আগ্রহী ছিলেন না রশিদ খান। কিন্তু বল পিক করে নিখুঁত থ্রোতে এনামুল ভাঙেন উইকেট। তখন ক্রিজের বাইরে ছিলেন জানাত। আফগানিস্তান তাতে হারাল অষ্টম উইকেট। বাংলাদেশ জয়ের আরেকটু কাছে পৌঁছে গেল।
গুলবাদিন-নবীও ড্রেসিংরুমে
শেষ ৫ ওভারে ৪ উইকেট তুলে আফগান শিবিরে কাঁপন ধরিয়েছে বাংলাদেশ। আসকিং রেট বড় থাকায় তাদের ঝুঁকি নিতে হতো। সেই ঝু্ঁকি নিতে গিয়েই পিছিয়ে পড়েছে আফগানিস্তান। দ্রুত ৪ উইকেট নিয়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ।
গুলবাদিন নাইব পেসার শরিফুলের বলে এক ছক্কা ও চার মারার পর দ্রুত ২ রান নেন। প্রতি আক্রমণে গিয়ে রান তুলতে চেয়েছিলেন সাবেক আফগান অধিনায়ক। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসেন শরিফুল। তাকে বোল্ড করেন নিজের নবম ওভারের শেষ বলে।
পরের ওভারে তাসকিন ফিরে তুলে নেন মোহাম্মদ নবীর উইকেট। তার লেন্থ বল মিড উইকেট দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সীমানায় আফিফ ছিলেন মনোযোগী। বলের ওপর থেকে চোখ না সরিয়ে ঠিকঠাক তালুবন্দি করেন।
২১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে আফগানিস্তান। তারা কী আর ম্যাচে ফিরতে পারবে?
পরিসংখ্যান: জয়ের জন্য আফগানিস্তানের ৬০ বলে প্রয়োজন ১২৩ রান
জোড়া উইকেটে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
পরপর দুই ওভারে দুই থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। মিরাজ ফিরিয়েছেন নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। শরিফুলের শিকার হাশমতউল্লাহ।
মিরাজের আগের ওভারে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্পড থেকে বেঁচে যান নাজিবুল্লাহ। হার্ডহিটার এই ব্যাটসম্যান যে কোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ম্যাচ জেতানো ইনিংসও রয়েছে।
তবে বিপজ্জনক হয়ে উঠার আগে আজ তাকে থামিয়ে দিলেন মিরাজ। অফস্পিনারের বলে স্লগ করতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২৫ বলে ১৭ রান করেছিলেন এ ব্যাটসম্যান।
মিরাজের ওভারে মাত্র ৩ রান আসায় চাপ বাড়ছিল। ফিফটি পাওয়া হাশমতউল্লাহ চেয়েছিলেন বড় শট খেলে চাপ কমাতে। কিন্তু উল্টো ফল হলো। বল তার ব্যাটে লেগে চলে যায় থার্ড ম্যান অঞ্চলে। সেখানে বল জমিয়ে ফেলেন হাসান মাহমুদ। ৬০ বলে ৫১ রানে ফিরলেন আফগান অধিনায়ক।
উইকেটে এখন দুই নতুন ব্যাটসম্যান, মোহাম্মদ নবী ও গুলবাদিন নাইব।
ফের আফগানিস্তানের প্রতিরোধ, জমে উঠেছে লড়াই
চতুর্থ উইকেটে আবার পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছে আফগানিস্তান। তাতে জমে উঠেছে দুই দলের লড়াই। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি ও নাজিবুল্লাহ জাদরান প্রতি আক্রমণে গিয়ে দ্রুত রান তুলছেন। আসকিং রেট দশের বেশি থাকায় দ্রুত রান তুলতে হবে তাদের। সেই কাজটাই করছেন তারা।
হাশমতউল্লাহ তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি। ৩৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান ৩ উইকেটে ১৯৩। জয়ের জন্য ৮৪ বলে তাদের করতে হবে ১৪২ রান।
মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেন ইব্রাহিম
বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। ফিফটি পাওয়ার পর হাত খুলে খেলছিলেন শট। জয়ের জন্য তাকে ফেরানো জরুরী ছিল। হাসান মাহমুদ বোলিংয়ে ফিরে কাজের কাজটি করেন। তবে আসল নায়ক মুশফিকুর রহিম। উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তিনি। অফস্টাম্পের বাইরে লেন্থ বলে পাঞ্চ করেছিলেন ইব্রাহিম। বল তার ব্যাটে চুমু খেয়ে যায় উইকেটের পেছনে। মুশফিকের নাগালের বাইরে ছিল। কিন্তু ডানদিকে ঝাঁপিয়ে মুশফিক চোখের পলকে বল গ্লাভসবন্দি করেন।ইব্রাহিম ফিরলেন ৭৪ বলে ৭৫ রান করে। আফগানিস্তান হারাল তৃতীয় উইকেট।
পরিসংখ্যান বাংলাদেশ ২৫ ওভার শেষে ১৩২/২ আফগানিস্তান ২৫ ওভার শেষে ১১০/২ জয়ের জন্য ২৫ ওভারে ২২৫ রান চাই আফগানিস্তানের
আফগানিস্তানের একশ, উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ
১৩ ওভারে দলীয় ৫০ রান পেয়েছিল আফগানিস্তান। শতরান পেতে তাদের লাগল ২৩.৩ ওভার। দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙার পর ইনিংস মেরামতের কাজ করছেন ইব্রাহিম জাদরান ও অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। ইব্রাহিম এরই মধ্যে ফিফটি তুলে নিয়েছেন। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে তার চতুর্থ ফিফটি।
রহমতকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরালেন তাসকিন
১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরান দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দুজন কোনো আলগা শট না খেলে এগিয়ে যান দারুণভাবে। প্রায় প্রতি ওভারেই তুলে নেন একটি করে বাউন্ডারি। বাংলাদেশের বোলারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিলেন দুজন।
তাসকিন নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ভাঙেন এই প্রতিরোধ। রহমত শাহ তার শর্ট বল উড়াতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হন। যে উচ্চতায় বল আসবে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন, তেমনটা হয়নি। ৫৭ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন এ ব্যাটসম্যান। তাতে ভাঙে তাদের গড়া ৯৭ বলে ৭৮ রানের জুটি।
বাংলাদেশের সামনে কঠিন সমীকরণ
আজ হারলে এবারের এশিয়া কাপ শেষ হয়ে যাবে সাকিব আল হাসানদের। আবার জিতলেই যে আশা বেঁচে থাকবে এমনটা নয়। রান রেটের হিসেবও কষতে হবে।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ শুরুটা ভালোই করছে। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৩৪ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে। সুপার ফোর নিশ্চিতে বাংলাদেশের চাই বড় জয়। তাহলে নেট রান রেট ভালো থাকবে সাকিবদের। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বাজেভাবে হারায় রান রেটে অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এজন্য আফগানিস্তানকে আজ আটকাতে হবে ২৭৯ রানে।
তাহলে রান রেটের হিসেব না কষেই বাংলাদেশ চলে যাবে সুপার ফোরে। আর আফগানিস্তান যদি এই রানের বেশি করে এবং ম্যাচ হেরে যায় তাহলে বাংলাদেশকে অপেক্ষায় থাকতে হবে। তাকিয়ে থাকতে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিকে। আর আজ হারলেই সব শেষ। তখন একদিন অপেক্ষার পর লাহোর থেকে কলম্বো ফিরে ধরতে হবে দেশের বিমান।
ব্রেক থ্রু এনে দিলেন শরিফুল
নিজের প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলাম ব্রেক থ্রু এনে দিলেন। এলবিডব্লিউ হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৭ বলে ১ রান করেছেন আফগান তারকা ওপেনার। অবশ্য ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরতে পারতেন রহমানউল্লাহ। তার লেন্থ বল টাইমিং করতে পারেননি ওপেনার।
বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে বাংলাদেশে পেয়ে যেত উইকেট। অবশ্য এক বল পরই শরিফুল নিজের উইকেট আদায় করে নিলেন। ১ রানে প্রথম উইকেট হারাল আফগানিস্তান। শরিফুল নিজের প্রথম ওভারে কোনো রান না দিয়ে তুলে নেন উইকেট।
মিরাজ-শান্তর সেঞ্চুরির পর সাকিব ঝড়ে বাংলাদেশের পুঁজি ৩৩৪
আফগানিস্তানকে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করেছে।
মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ বলে ৩২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তাতে নিজেদের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে মিরাজ ১১২ ও শান্ত ১০৪ রান করেন। মিরাজ ক্র্যাম্প হয়ে উঠে যান। শান্ত রান আউট হন ১০৪ রানে। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে ২৫ রান করে রাখেন অবদান।
প্রথমবার খেলতে নামা শামীম হোসেন ১১ রান করেন ৬ বলে। আফিফ হোসেন অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।
মিরাজ রিটায়ার্ড হার্ট, শান্ত-মুশফিক রান আউট
মুজিব উর রহমানকে ইনসাইড আউট শটে দারুণ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু শট খেলার পরপরই তার আঙুলে ক্র্যাম্প হয়েছে। এরপর আর ব্যাটিংয়ে থাকতে পারেননি।
ফিজিওকে নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার জন্য করতালি পড়েছে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। মিরাজ রিটায়ার্ড হার্ট হন ১১৯ বলে ১১২ রান করে, যেখানে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কা। মিরাজ উঠে যাওয়ায় থেমে যায় শান্ত ও তার গড়া ১৯৪ রানের জুটি।
মিরাজ উঠে যাওয়ার পর শান্ত সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। রান আউট হয়ে ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে। ১০৫ বলে ১০৪ রান করেছেন ৯ চার ও ২ ছক্কায়। মুশফিক ১টি করে চার ও ছক্কায় আগ্রাসন দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু তার ইনিংসটি থেমে যায় ২৫ রানে, রান আউট হয়ে।
মিরাজের পর শান্তর সেঞ্চুরি, পঞ্চম জোড়া সেঞ্চুরি বাংলাদেশের
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তও পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। এবার কোনো ভুল করেননি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি রাঙিয়েছেন দারুণ এক ইনিংসে। শান্তর আগে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মিরাজ। ওয়ানডেতে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো এক ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি তুলে নিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা।
এর মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুবার, একবার করে আফগানিস্তান, নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম ও মুশফিক সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেঞ্চুরি তোলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার তিন অঙ্কের মাইফলক স্পর্শ করেন। সবশেষ ২০২০ সালে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস পেয়েছিলেন জোড়া সেঞ্চুরি।
মিরাজের সেঞ্চুরি, অপেক্ষায় শান্ত
অসাধারণ, অনবদ্য, অবিস্মরণীয়। যত বলা হবে ততই যেন কম। মেহেদী হাসান মিরাজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে যা করে দেখালেন তা লিখা থাকবে ইতিহাসের অক্ষয় কালিতে।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমেছেন। আর নেমেই পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি। ৫ বছর পর ওপেনিংয়ে নেমে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১১৫ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কের মাইলফলকে।
গত বছর ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মিরাজ।
জুটির দেড়শ
৪ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে ছন্দপতন হয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। কিন্তু দলকে বিপদে পড়তে দেননি মিরাজ ও শান্ত। দেড়শ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ১৫৬ বলে তাদের জুটির রান দেড়শ পেরিয়েছে। পঞ্চমবারের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে তৃতীয় উইকেটে ১৫০ বা এর বেশি রান দেখল বাংলাদেশ।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দুইশ পেরিয়ে বাংলাদেশ
৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২০২। রান রেট ৫.৭৭। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মিরাজ ও শান্ত দ্রুত রান তুলছেন। ফিফটির পর সেঞ্চুরির পথেও হাঁটছেন দুজন। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে এখন পর্যন্ত বেশ ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। শেষটা এই ধারাবাহিকতায় রাঙাতে পারলে ব্যাটসম্যানরা দলের রান নিয়ে যাবেন চূড়ায়।
শতরানের ‘প্রথম’ জুটি, ছক্কায় শান্তর ফিফটি
মোহাম্মদ নবীকে ছক্কা উড়িয়ে প্রথমে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন মিরাজ। সঙ্গীকে অনুসরণ করে শান্তও ছক্কা মেরে ছুঁয়ে ফেললেন ফিফটি। ফজল হক ফারুকির বল ওয়াইড মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে শান্ত এশিয়া কাপে দ্বিতীয় ফিফটির দেখা পেলেন।
এর আগের ওভারে তাদের দুজনের জুটির রান শতরান পেরিয়ে যায়। ৬৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর শান্ত ও মিরাজ জুটি বাঁধেন। ৬৪ বলে জুটির রান পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল। একশ পেরিয়েছে ১১৭ বলে।
যুব ক্রিকেটে এই দুই জুটি বাংলাদেশকে অনেক আনন্দে ভাসিয়েছে। ২১ ম্যাচে ৪৭.৯৪ গড়ে তাদের জুটির রান ছিল ৮৬৩। তবে জাতীয় দলে একসঙ্গে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মিলেছে খুব কমই। এবারের এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তারা একসঙ্গে প্রথম জুটি বেঁধেছিল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৪ রানে থেমেছিল তাদের যাত্রা। তবে এবার শতরানে দুই বন্ধু জুটি রাঙালেন।
মিরাজ-শান্তর ব্যাটে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ
ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে বাজি ধরা হয়েছিল। সেই বাজি জিতে গেলেন মিরাজ। ৫ বছর পর নেমেছেন ইনিংস উদ্বোধন করতে। থিতু হতে সময় নিয়েছেন। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ৬৫ বলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটিতে পৌঁছতে ৪ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন। ইনিংসটি বড় করার দারুণ সুযোগ রয়েছে তার। দু্যতি ছড়িয়ে মিরাজ সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ, মিরাজ-শান্তর জুটির পঞ্চাশ
৬৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মিরাজ ও শান্ত এগিয়ে নিচ্ছেন দলীয় সংগ্রহকে। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ১০০ রানের গণ্ডি পেরিয়েছে। সঙ্গে পূর্ণ হয়েছে মিরাজ ও শান্তর পঞ্চাশ রানের জুটিও। বাংলাদেশ দলীয় একশ রান পায় ১৯.১ ওভারে। তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধা মিরাজ ও শান্তর পঞ্চাশ রান আসে ৬৫ বলে।
শান্ত-মিরাজে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
৪ বলের ব্যাবধানে সাজঘরে ফেরেন নাঈম ও তাওহীদ হৃদয়। এরপর জুটি বাঁধেন নাজমুল হাসান শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা দুজন এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে। ৫১ বলে তারা দুজন ইতোমধ্যে ৩৬ রান তুলেছেন।
৪ বলের ব্যবধানে নাঈম-তাওহীদ আউট
দশম ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মুজিব উর রহমান। তিন বল পর পেসার গুলবাদিন নাঈবের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা তাওহীদ হৃদয়। ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। ম্যাচে দারুণভাবে ফিরল আফগানিস্তান।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ৬০ রান। পাওয়ার প্লে’ বেশ ভালোভাবে কাজে লাগালেও শেষ বলে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাঈম শেখ স্পিনার মুজিব উর রহমানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হন। বলের লাইনে ব্যাট চালালেও টাইমিং মেলাতে পারেননি। ৩২ বলে ২৮ রান করে ফেরেন নাঈম।
তাওহীদকে তিনে পাঠিয়ে দ্রুত রান তুলতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু মিডল অর্ডার থেকে টপ অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া তাওহীদ পারেননি সুযোগটি কাজে লাগাতে। শরীরের বাইরে আলগা শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন। সেখানে দারুণ ক্যাচ নেন ইব্রাহিম জাদরান। শূন্য রানে শেষ তার ইনিংস। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাকের তিক্ত স্বাদ নিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
দারুণ ব্যাটিংয়ে পঞ্চাশ পেরিয়ে বাংলাদেশ
৭.৫ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ রান পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে ২২ গজে পরীক্ষা দিচ্ছেন। আফগানিস্তানের বোলিংয়ে তেমন ধার নেই। তবে নাঈম ও মিরাজ প্রশংসা পাওয়ার মতোই ব্যাটিং করছেন। ভালো বল সমীহ করছেন। বাজে বলে করছেন শাসন। সাত ম্যাচ পর ওপেনিং জুটিতে ৫০ দেখল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা
প্রথম ৩ ওভারে ৩০ রান পেয়েছে বাংলাদেশ। ফজল হক ফারুকির প্রথম ওভার থেকে পায় ১৪ রান। নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ২ বাউন্ডারি। অতিরিক্ত খাত থেকে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় আরো একটি বাউন্ডারি। দ্বিতীয় ওভারে মুজিব উর রহমানও ওয়াইডসহ একটি বাউন্ডারি দেন। ফারুকির দ্বিতীয় ওভারে নাঈম শেখ ২ বাউন্ডারি তুলে নেন। প্রথমটি ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারিতে গেলেও দ্বিতীয়টি ছিল দারুণ এক কভার ড্রাইভ। একদম পিকচার পারফেক্ট শট।
পরিসংখ্যান
৫ বছর পর ওয়ানডেতে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষবার ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ মঞ্চেই ইনিংস উদ্বোধন করেছিলেন মিরাজ। সেবার ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ওপেনিংয়ে লিটন ও মিরাজ ১২০ রানের জুটি গড়েছিলেন। নিজে ৫৯ বলে করেছিলেন ৩২ রান। এবার তার সঙ্গী নাঈম শেখ। কতদূর তারা বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে পারে সেটাই দেখার।
টস
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হয়েছে।
তিন পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ একাদশ
প্রথম ম্যাচ হারের পর ‘খোলনলচে পাল্টে’ ফেলল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একাদশে তিন পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। দলে এসেছেন হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন। এছাড়া অভিষেক হচ্ছে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর। দলের বাইরে শেষ ম্যাচে অভিষেক হওয়া তানজিদ হাসান তামিম। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ও মাহেদী হাসানকেও একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ
মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
টি-টোয়েন্টিতে ভর দিয়ে ওয়ানডেতে শামীম
১৭ টি-টোয়েন্টি খেলা শামীম হোসেন পাটোয়ারী বাংলাদেশের ওয়ানডের ১৪৪তম ক্যাপ পেয়েছেন। আজ তার অভিষেক হলো পাকিস্তানের মাটিতে। এর আগে ওয়ানডে স্কোয়াডে একাধিকবার তাকে রাখা হলেও খেলার সুযোগ পাননি। এবার তার কপাল খুলল।
গত জুলাইয়ে সিলেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তার খেলা ২৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস, তাকে নিয়ে আসে এশিয়া কাপের দলে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন শামীমকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘শামীম আমাদের এইচপিতে ছিল অনূর্ধ্ব ১৯ থেকে আসার পর। আমাদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের ক্রিকেটার। মাঝখানে ২১ সালের বিশ্বকাপের পর পারফরম্যান্স একটু বাজে ছিল। তারপর সেটা কাটিয়ে উঠেছে। যতগুলো সিরিজ গেছে, শেষ টি-টোয়েন্টিতেও যথেষ্ট ভালো খেলেছে। সেই হিসেবে আমরা মনে করেছি ওর অবশ্যই সামর্থ্য আছে ভালো ক্রিকেট খেলার। ওই আত্মবিশ্বাসেই আমরা ওকে নিয়ে এগোচ্ছি।’
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জারদান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, করিম জানাত, রশিদ খান, ফজল হক ফারুকি ও মুজিব উর রহমান।
শুধু জিতলেই হবে না বাংলাদেশের… আজ হারলে এবারের এশিয়া কাপ শেষ হয়ে যাবে সাকিব আল হাসানদের। আবার জিতলেই যে সুপার ফোর নিশ্চিত- সেটিও নয়। নেট রান রেট বিবেচ্য হতে পারে। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ও চাই বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বাজেভাবে হারায় রান রেটে অনেক পিছিয়ে আছে সাকিব অ্যান্ড কোং। তাই জয়ের পাশাপাশি রান রেটের হিসেবটাও মাথায় রাখতে হবে। আর হারলেই সব শেষ। তখন একদিন অপেক্ষার পর লাহোর থেকে কলম্বো ফিরে ধরতে হবে দেশের বিমান।
রানের ফুলঝুরি ছুটবে? ক্যান্ডিতে বৃষ্টির দাপট দেখা গেলেও আজ লাহোরের আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলেই পূর্বাভাস মিলেছে। সে সঙ্গে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেটে রানের বন্যাও দেখা যেতে পারে। এখানে সর্বশেষ ৬ ইনিংসের তিনটিতেই ৩০০ রানের দেখা মিলেছে।
১৫ বছর পর… লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২০০৮ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে ওয়ানডে হওয়ার কথা থাকলেও কোভিডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সিরিজ। ১৫ বছর পর আবার লাহোরে খেলার অপেক্ষায় টাইগাররা। ২০০৮ সালে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ এই মাঠে একটি জয়ও পেয়েছিল। আরব আমিরাতকে হারিয়েছিল ৯৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ১৫ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে লাহোরেই খেলেছে ৫ ওয়ানডে।
পরিসংখ্যান মুখোমুখি লড়াইয়ে আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশই। ১৪ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতে জয় ও ৬টিতে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।
লাহোরে বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষা জিতলে টিকে থাকবে আশা, হারলেই স্বপ্নভঙ্গ। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে লাহারের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে ২-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচের ওয়ানডে জেতায় আজ কিছুটা হলেও মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবে আফগানিস্তান দল। তবে বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখার কোনো কারণ নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তা খুব ভালোভাবে জানা এ দলের ক্রিকেটারদের।