লক্ষ্মীপুর শহরে চুরি কিংবা অপরাধ দমনে স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো (সিসি ক্যামেরা) দিন দিন চুরি হয়ে যাচ্ছে। শহরজুড়ে স্থাপিত অর্ধশতাধিক সিসি ক্যামেরার যে কয়টি চুরি থেকে রক্ষা পেয়েছে, সেগুলোও অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে বেড়ে চলেছে অপরাধের ঘটনা।
শহরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ২০১৬ সালে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছিল অর্ধশত সিসি ক্যামেরা। সেই সময় নিয়ন্ত্রণেও আসে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। তবে বছরখানেক পরে নষ্ট হতে থাকে সিসি ক্যামেরাগুলো। বর্তমানে সবগুলো ক্যামেরা অকেজো। এরমধ্যে কিছু ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে আর কিছু ক্যামেরার বাক্সের ভিতরে বাসা তৈরি করেছ পাখি। অকেজো থাকায় অপরাধী সনাক্ত ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজে আসছে না সেগুলো। তাই চুরি, ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেও অনেক ক্ষেত্রে জড়িতরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
শহরবাসী জানিয়েছেন, রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে শহরবাসীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো সিসি ক্যামেরাগুলো। এতে করে বেড়ে চলেছে অপরাধ। এ ছাড়া অপরাধীদের শনাক্ত করতে যেমন বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তেমনি সিসি ক্যামেরার সুফল পাচ্ছে না স্থানীয় জনগণ।
পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া জানান, সিসি ক্যামরাগুলো বসানোর পরে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি না করায় অচল হয়ে পড়েছে। এতে করে বাসা-বাড়ি, দোকানে ও সড়কে যানবাহন চুরি হলেও অপরাধীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরা চালু থাকলে অপরাধী শনাক্ত করা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। তাই শহরবাসীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অকেজো সিসি ক্যামেরাগুলো বাদ দিয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নতুন করে প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরা বসানো কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।