ড. ইউনূস অর্থনীতিবিদ হয়ে কীভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সবিচ কবির বিন আনোয়ার।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে দলীয় কার্যালয়ে তিনি ফিতা কেটে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন করেন।
মত বিনিময়কালে কবির বিন আনোয়ার বলেন, ড. ইউনূস প্রসঙ্গ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বানানো একটি বিষয়। তারা সেটিকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন কীভাবে সেটি বোধগম্য নয়। কেননা তিনি একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দিলে সেটি যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু তিনি পেলেন শান্তিতে নোবেল। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের মানুষের খাওয়া-পড়া ও আয়ের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সেটি অর্থনীতির বিষয়। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার কি অবদান বোধগম্য নয়।
সাবেক এই মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) একজন ব্যক্তি। আর আমরা কথা বলছি বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রে। আমরা বলছি, রাষ্ট্রের সামনে নির্বাচন, বিশ্ব মন্দা চলছে। এ সময় আমরা কীভাবে জনগণকে সাথে নিয়ে এই মন্দা মোকাবিলা করবো, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। কিন্তু একটি অপশক্তি একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত মামলার বিষয়াদি সামনে আনার চেষ্টা করছে। অবশ্যই তিনি সম্মানিত ব্যক্তি। আমরা তার কাজকে সম্মান জানাই। কারণ তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তারপরও আমার কাছে মনে হয় এসব প্রসঙ্গ অবান্তর। এটি একটি ব্যক্তির সাথে আদালতের বিচারাধীন বিষয়। আাদালত যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্মার্ট কর্ণার বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি অংশ নেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ফসিউর রহমান, আটঘরিয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন, ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ইছাহত আলী মালিথাসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।