জয় দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শুরু করলো আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির অনবদ্য পারফর্ম্যান্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের একমাত্র গোলটিও করেছেন মেসি।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঘরের মাঠ বুয়েন্স আয়ারসের মাস মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয় লিওনেল স্কালোনির দল। এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ সময় পর আবারও জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাক অ্যালিস্টারের বাড়ানো পাস ধরে জাল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু মিস!
২৮ মিনিটে দুটো ভালো সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এনজো ফার্নান্দেজ ও লাউতারো মার্টিনেজ। প্রথমার্ধ শেষের খানিক আগে ইকুয়েডরও আক্রমণ শানায় আর্জেন্টিনার গোলপোস্টে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। ফলে গোলশূন্য সমতা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
বিরতির পর ইকুয়েডরের গোলপোস্টে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাতে থাকেন মেসি-রোমেরো-নিকোলাস গঞ্জালেসরা। কিন্তু বারবার হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তাদের। ৬৯ মিনিটে ডি পলের বাড়ানো বলে শট নিয়েছিলেন মেসি। সেই বল আটকে যায় গোলপোস্টে।
অবশেষে ৭৮ মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। নিজেদের বক্সের সামনে লাউতারো মার্টিনেজকে ফাউল করেন ইকুয়েডর মিডফিল্ডার ময়জেস কাইসেদো। ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। ২১ গজ দূর থেকে মেসির বাঁকানো ফ্রি কিকটি ইকুয়েডর গোলকিপার এরনান গ্যালিন্দেজের চেয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
এই গোলের মধ্য দিয়ে কলম্বিয়ার রুবেন দারিও বাস্তোসকে ফিরিয়ে আনলেন মেসি। তার আগে দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ফ্রি কিক থেকে ২০০৭ সালে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে একমাত্র গোলটি করেছিলেন বাস্তোস। এ নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা ২২ ম্যাচ অপরাজিত রইলো আর্জেন্টিনা।
দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অন্য ম্যাচে পেরুর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে প্যারাগুয়ে। ভেনেজুয়েলাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া।