বর্তমান সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে বিএনপির রোড মার্চ শেষ হবে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুরের গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপির কার্যালয়ে সামনে দলের পূর্বঘোষিত ‘তারুণ্যের রোড মার্চ’ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে তিনি বলেছেন, আজ রোড মার্চ শুরু হলো। এ কর্মসূচি সেদিন শেষ হবে, যেদিন এ সরকারের পতন ঘটবে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেছেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতে গেলে জামিন দেওয়া হয় না। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে।
লুটেরা, অনির্বাচিত এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এ রোড মার্চ, এ কথা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, রংপুরের ঐতিহ্য আছে। এ ঐতিহ্য হচ্ছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ঐতিহ্য। রংপুর থেকে আজকের তরুণরা দেশের জনগণকে ডাক দিচ্ছে এ দেশকে পুনরুদ্ধারের জন্য।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৌশল করে, জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে চায় তারা। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। বিদ্যুৎ থাকছে না। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেচ দিয়ে কৃষিকাজ করতে পারছেন না কৃষকরা। তারা ব্যাংক খালি করে দিয়েছে, রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি করছে। সবখানে চুরির কারণে রিজার্ভ কমে আসছে। অর্থনীতির চাকা চলছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। গতকাল (শুক্রবার) রাতেও আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। চিকিৎসকরা তাকে নিয়ে চিন্তিত। চিকিৎসকরা বলছেন, এখানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করার আর সুযোগ নেই। তার চিকিৎসার জন্য তাকে অতিদ্রুত বিদেশে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশের সবগুলো রাজনৈতিক জোট ঘোষণা দিয়েছে যে, এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকার বার বার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি সেখানে অংশ নেবে এবং নির্বাচনের পরে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সময় আছে, এক দফা মেনে নিন। আর যদি শান্তিপূর্ণ পন্থায় না মানেন, তাহলে জনগণের উত্তাল তরঙ্গে আপনারা ভেসে যাবেন।