চোট জর্জর স্কোয়াড নিয়ে এশিয়া কাপের মিশনে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে নিজেদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। ফাইনাল খেলার, শিরোপা জেতার তীব্র আকাঙ্খা থাকলেও তা পূরণ হয়নি। নিজেদের সেরা কম্বিনেশন আর খেলোয়াড়দের সেরা ফর্ম থাকলে এবারের গল্পটা ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
শনিবার সকালে শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরে স্পিন অলরাউন্ডার এশিয়া কাপ নিয়ে বিমানবন্দরে কথা বলেছেন গণমাধ্যমে। তার কথা শুনেছে রাইজিংবিডি।
অধিনায়ক শেষ ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলেন। নিশ্চয়ই দল জেতায় খুব খুশি তিনি? মেহেদী হাসান মিরাজ: অধিনায়ক অবশ্যই খুব ভালো অনুভব করেছেন। যেহেতু ভারতের সঙ্গে জিতেছি। অধিনায়ক সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বিশেষ করে যারা জুনিয়র খেলোয়াড়, ওরা তো খুব ভালো খেলেছে।
আমরা এশিয়া কাপের শেষ চার আসরের তিনটাতেই ফাইনাল খেলেছিলাম। এবার পারলাম না। এটা তো দলের ব্যর্থতাই! সামনে কিভাবে আগাতে চান? মেহেদী হাসান মিরাজ: ইনজুরিটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করবো যারা ইনজুরিতে পড়েছে, তারা যেন খুব দ্রুত ওভারকাম করে। তামিম ভাই দলের সঙ্গে ছিল না, শান্ত খেলার ভেতর ইনজুরড হয়ে গেছে। ও কিন্তু খুব ভালো শুরু করেছিল, দুটা ম্যাচেই অনেক বড় রান করেছে। লিটন দাদার ইনজুরি ছিল। মুশফিক ভাই খেলার মধ্যে পরিবারের জন্য সমস্যা চলে গিয়েছিল। আমি চাই সবাই বিশ্বকাপে যেন ফিট হয়ে যায়। সবাই মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে যেতে চাই।
শেষ ম্যাচটা জেতায় নিশ্চয়ই ভালো একটা মানসিকতায় থাকবেন... মেহেদী হাসান মিরাজ: শেষ ম্যাচটা আমরা জিতেছি খুব ভালো লাগছে। ভারতের সঙ্গে জিতেছি, এটা অবশ্যই আমাদের দলের ভেতরে আলাদা আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দেবে। যেহেতু ভারত এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে ছিল। ওদের আমরা হারিয়েছি এটা আমাদের পরের ধাপে সাহায্য করবে যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ আছে। সবাই অনেক হ্যাপি আছি।
এশিয়া কাপে যে ছন্দের খোঁজে ছিল দল সেটা কি শেষ ম্যাচেই পেলেন? মেহেদী হাসান মিরাজ: আমাদের কোনো সম্ভাবনা ছিল না যে, এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠার। কিন্তু আমাদের একটা আশা ছিল, যদি ভারতের সঙ্গে জিততে পারি আত্মবিশ্বাসটা ভালো থাকবে বিশ্বকাপে যাওয়ার ক্ষেত্রে। আমাদের সামনে বড় ইভেন্ট, যেহেতু ভারতে খেলা, ওদের হারাতে পারলে দলের স্পিরিটটা বেড়ে যাবে। ওটাই হয়েছে। শেষ ম্যাচে যেভাবে জিতেছি অসাধারণ।
আপনি ওপেনিং করেছেন তিনটি ম্যাচে। সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই আবার নামতে চাইবেন? মেহেদী হাসান মিরাজ: দেখেন, এবার এশিয়া কাপে আমাকে বিভিন্ন রোল দেওয়া হয়েছে। এটা আসলে টিম কম্বিনেশনের কারণেই দেওয়া হয়েছে। কারণ যদি ওপেনাররা সুস্থ থাকতো, প্রথম থেকে তাহলে হয়তো আমি করতাম না। বেসিক যে ওপেনার ছিল, তারাই করতো। হয়তো টিম কম্বিনেশনের জন্য আমাকে উপরে খেলতে হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ একটা ম্যাচে ভালো করেছি।
তারপর সিচুয়েশন যখন আলাদা হয়েছে, মাঝখানে খেলেছি। ওভারঅল আমি মনে করি এশিয়া কাপে প্লেয়ারদের ইনজুরি খুব ভুগিয়েছি। আমরা যদি সবাই ফিট থাকতাম খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট হতো। যেহেতু কয়েকজনের ইনজুরি হয়ে গেছে, বিশ্বকাপের আগে খুব দ্রুত রিকোভারের চেষ্টা করবো।
এশিয়া কাপের পুরো মিশন কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? মেহেদী হাসান মিরাজ: দুইটা জয়ে অনেক প্রাপ্তি। আফগানিস্তান ও ভারতের সঙ্গে। শেষ ম্যাচে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে খেলোয়াড়রা আর তরুণরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে; তানজিমের অভিষেক হয়েছে, ও খুব ভালো বল করেছে। তাওহীদ ও সাকিব ভাই জুটি গড়েছে। লোয়ার অর্ডাররা কখনো অনেক রান করতে পারেনি। কিন্তু এ ম্যাচে তারা কামব্যাক করে সামর্থ্য দেখিয়েছে। এটা দলের জন্য অনেক ইতিবাচক।