মুন্সীগঞ্জের প্রাচীন ভাসমান পাটের হাট। জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারের পাশে পদ্মার শাখা নদীতে সপ্তাহে দুই দিন বসে ঐতিহ্যবাহী এই হাট। মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলা থেকে এখানে নৌকায় করে পাট বিক্রি করতে নিয়ে আসেন প্রান্তিক কৃষকেরা। তবে এ বছর পাটের দাম কম থাকায় হতাশ কৃষক।
সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই নদীপথে ট্রলার ভর্তি পাট নিয়ে হাজির হয় পাটচাষি ও ব্যবসায়ীরা। একটু আলো ফুটলেই শুরু হয় পাট বিক্রির হাঁকডাক। ভাসমান এই হাটে ট্রলার বা নৌকার ওপরে বসে চলে পাটের দরদাম ও বেচাকেনা। প্রায় শত বছর ধরে এভাবে চলছে ঐতিহ্যবাহী ভাসমান এই পাটের হাট।
প্রতি বছর জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এই ভাসমান হাট। চলে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। প্রতি হাটে শত শত মণ পাট বিক্রি হয়। এ সব পাটের মান, আকার ও রংভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্ত এ বছর শুরুতে পাটের দাম ভালো পাওয়া গেলেও বর্তমানে চাহিদা কম থাকায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শান্তনা রানী জানান, চলতি মৌসুমের শুরুতে পাটের ভালো দাম পেয়েছে কৃষক। তবে শেষ পর্যায়ে এসে দাম কমে যাওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদি সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া যায় তাহলে কৃষকরা পাটের ন্যায্য মুল্য পাবে।