এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে বাছাইপর্ব খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছে মালয়েশিয়া। অন্যদিকে শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকায় সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ক্রিকেটের সহযোগী দেশ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আজ বুধবার ঝেজিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে শক্তির প্রমাণ দিতে পারলো না। আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে বাংলাদেশ।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয় পাঁচজনের। তারা হলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলি অনিক, বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, সুমন খান ও রিপন মন্ডল।
ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয় রানআউট হয়ে ফেরেন শূন্য রানে। শূন্য রানে বাংলাদেশের এক উইকেট নেই। এরপর ১ রান নিতেই আরও এক উইকেট হারায়। বিজয় উন্নির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন (০)। ৩ রানের মাথায় হারায় আরও এক উইকেট। এবার জাকির হাসান (১) আউট হন পবনদীপ সিংয়ের বলে। অর্থাৎ ৩ রানে নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট।
সেখান থেকে অধিনায়ক সাইফ হাসান ও আফিফ হোসেন দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ৪১ রান পর্যন্ত। এই রানে আফিফ পবনদীপকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন জুবাইদি জুলফিকারের হাতে। তিনি ১৪ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ রান করে যান।
এরপর সাইফ এগোতে থাকেন শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে। ৮৬ রানের মাথায় শাহাদাত ফেরেন আনোয়ার রহমানের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে। ৩ চারে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।
সেখান থেকে সাইফ ও জাকের আলী অনিক ইনিংস শেষ করে আসেন। ৫২ বলে ১টি চার ও ৩ ছক্কায় সাইফের করা ৫০ ও অনিকের ২ চারে করা ১৪ রানের ভর করে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১১৬ রান সংগ্রহ করতে পারে।
মালয়েশিয়ার বিপক্ষেই যদি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এই বেহাল দশা হয় তাহলে সেমিফাইনালে উঠতে পারলে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে কেমন করবে? যারা কোয়ার্টার ফাইনালে এই মাঠেই নেপালের বিপক্ষে ২০২ রান করে জয় পেয়েছে।