রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্সি জালিয়াতি এবং অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রক্সি জালিয়াতি ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় মুশফিক তাহমিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেলেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
গত ২৬ জুলাই এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় গ্রুপ-২ এ তানভীর আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থীর বদলে প্রক্সি দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী বায়েজিদ খান। বায়েজিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বেরিয়ে আসে প্রক্সিচক্রের হোতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদের নাম। বায়েজিদ খানের দেওয়া তথ্যমতে, মুশফিক তাহমিদের নির্দেশে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়েছেন তিনি। পরে এ ছাত্রলীগ নেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অনুসন্ধান করে বিগত কয়েক বছরে প্রায় ৪২ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ মেলে।
এ বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ মুশফিক তাহমিদকে বহিষ্কার করে। পরে গত ১৭ আগস্ট মুশফিক তাহমিদসহ বহিষ্কৃত চারজনের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, অপহরণ ও তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ সামনে আসে। এর প্রেক্ষিতে ১৮ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম ও আটক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মা রেহেনা বেগম তাদের নামে নগরীর মতিহার থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ মুশফিক তাহমিদসহ চারজনকে বহিষ্কার করে।