এশিয়ান গেমসের কারাতে ইভেন্টে নারী ও পুরুষ বিভাগে অংশ নিতে নাম নিবন্ধন করেছিল বাংলাদেশের পাঁচজন। তাদের মধ্যে দুইজন ব্যক্তিগত কাতায় এবং তিনজন কুমিতে।
আজ বৃহস্পতিবার হ্যাংজুর লিনপিং স্পোর্টস সেন্টার জিমনেসিয়ামে ব্যক্তিগত কাতা ইভেন্টের বাছাইপর্বে লড়ার কথা ছিল মো. হাসান খান সান ও নুমি মারমার। নুমি মারমা তার ইভেন্টে অংশ নিতে পারলেও হাসান খান পারেননি।
হাসানের খেলা ছিল স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে। এশিয়ান গেমস ভিলেজ থেকে লিনপিং স্পোর্টস সেন্টার জিমনেসিয়ামে যেতে সময় লাগে ৪০ মিনিটের মতো। হাসান যথাসময়ে ভিলেজ থেকে বের হয়ে ৭টার বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে যাওয়া কোচ মোয়াজ্জেম হোসেন ও কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন যথাসময়ে সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি।
এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ কারাতে দলের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাগণ।
তারা দেরি করে নামায় বাস মিস করেন হাসান। এরপর পরবর্তী বাস অর্থাৎ ৮টার বাস ধরে তারা জিমনেসিয়ামে যান। কিন্তু ততোক্ষণে খেলা শুরু হয়ে যায়। এরপর কর্মকর্তারা চেষ্টা করেন হাসানকে ম্যাটে নামানোর। কিন্তু দেরি করে আসায় আয়োজকরা তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। তাতে আর ম্যাটেই নামা হয়নি হাসান খানের।
অবশ্য এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে কারাতে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বিষয়টিকে হাসানের পেট খারাপ ছিল বলে চাউড় করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আসল ঘটনা ইতোমধ্যে জানাজানি হয়ে গেছে।
সরকারি টাকা খরচ করে এশিয়ান গেমসের মতো একটি বড় আসরে অংশ নিতে এসে কোচ ও কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে খেলতে না পারাটা নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক। যা দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে ম্যানেজারের কারণে সময়মতো ভেন্যুতে উপস্থিত হতে পারেননি বাংলাদেশের এক বক্সার। দেরিতে যাওয়ায় তাকেও সেবার রিংয়ে নামতে দেওয়া হয়নি।