টিম ডি লিড ও বাস ডি লিড! টিম পিতা আর বাস পুত্র। পিতা আগে বিশ্বকাপে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবার পুত্রের পালা। বছর পাঁচেক আগে কমলা জার্সিতে অভিষেক হলেও বিশ্বকাপে এই প্রথম সুযোগ পেয়েছেন বাস।
শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে যাত্রা শুরু ব্যাটিং অলরাউন্ডার বাসের। অবশ্য ২০১৯ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস কোয়ালিফাই করলে হয়তো তখনই অভিষেক হয়ে যেতো।
হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) টস জিতে বোলিং নেয় নেদারল্যান্ডস। দলের গুরুত্বপূর্ন তারকা বাসকে রেখেই একাদাশ সাজিয়েছে দলটি।
২০১৮ সালের আগস্টে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়ে বাসের। এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৩০ ওয়ানডে। ২৭.৬৫ গড়ে রান করেছেন ৭৬৫টি। বল হাতে ডান হাতি মিডিয়াম পেস করা বাস সমান ম্যাচে নিয়েছেন ২৪ উইকেট।
এর আগে বাসের পিতা টিম ডাচদের হয়ে ২৯ ম্যাচ খেলেন। ম্যাচ সংখ্যায় ইতিমধ্যে পিতাকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন, এবার শুধু রাঙানোর পালা। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ২৯ ম্যাচে ৪০০ রান ও ২৯ উইকেট নেন। বিশ্বকাপে খেলেন ১৪ ম্যাচ। রান হিসেবে পুত্র এগিয়ে, উইকেট সংখ্যায় পিতা।
বিশ্বকাপে পিতা-পুত্রের খেলা অবশ্য এটি প্রথম নয়। এর আগে ডন প্রিঙ্গেল (পূর্ব আফ্রিকা), ডেরেক প্রিঙ্গেল (ইংল্যান্ড), লেন্স কেইর্নস-ক্রিস কেইর্নস (নিউ জিল্যান্ড), ক্রিস ব্রড-স্টুয়ার্ড ব্রড (ইংল্যান্ড) জিওফ মার্শ-মিচেল মার্শ ও শন মার্শ (অস্ট্রেলিয়া) রড লাথাম-টম লাথাম (নিউ জিল্যান্ড), কেভিন কারান-স্যাম কারান (ইংল্যান্ড) পিতা-পুত্র হিসেবে বিশ্বকাপে খেলেন।