গাজীপুর-ময়মনসিংহ সংযোগে বানার নদীর ওপর নির্মিত বানার সেতু’র কাপাসিয়া অংশের দুই পাড় ভেঙে গেছে। এতে সেতুটি ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ময়মনসিংহের সড়ক সার্কেল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলম জানান, বানার সেতুর মুখে ভেঙে যাওয়া সড়কটি মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উদ্বোধনের তিন বছরের মাথায় কেন ভেঙে গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে এমনটি হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুর কাপাসিয়া টোক-গফরগাঁও সড়কের কাপাসিয়ায় বানার সেতুর মুখের অংশের দুই পাশে সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলি বাঁকা হয়ে গেছে। সেতুর দক্ষিণ পাশের পশ্চিম অংশে বিরাট ভাঙন দেখা গেছে। ভাঙনের ভেতরের বালি কৃষকের ফসলি জমিতে পড়েছে। সেতুতে সাবধানতা অবলম্বন করে যান চলাচল করছে।
স্থানীয় মুদি দোকানী আবুল হাসান বলেন, ‘কাজে দুর্নীতি হইছে। যেসব পিলার বসানো হইছে সেগুলোর কাজও ভালো হয় নাই। এর আগেও একবার ভেঙে গেছিল। যদিও মেরামত করা হয়েছে, কিন্তু আবার ভেঙ্গে গেছে।’
স্থানীয় সফিকুল আলম বলেন, ‘শুনছি, এটার জন্য কয়দিন পরপর বাজেট আসে। ভালোভাবে কাজ করে না। কয়েক দিন পর পর ভেঙে যায়। যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হয়।’
পথচারি সাইফুল্লাহ লাবিব বলেন, এই সেতু হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। কাজের গাফিলতির কারণে এবং ঠিকাদারের নজরদারির অভাবে অল্প বৃষ্টি হলেই সড়ক ভেঙে যায়। এভাবে যদি ভেঙে যায় তাহলে ভবিষ্যতে মূল সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা দুইটা জেলার সংযোগ সেতু। প্রচুর লোকজন আসা যাওয়া করে।
সেতুর উত্তর অংশে রশিদ দিয়ে টাকা আদায়কারী শুভ জানান, ভেঙে যাওয়া সড়কের ব্যাপারে ইজারাদার কর্তৃপক্ষকে জানাবে। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
এলজিইডি’র কাপাসিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন বলেন, বানার সেতুর মুখে ভেঙে যাওয়া সড়কটির খোঁজ নিতে লোক পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তাতারিত তথ্য জানানো হবে।
কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খাঁন বলেন, আমি সরেজমিনে ভেঙে যাওয়া সড়ক দেখে এসেছি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি।