পাকিস্তানে শিখ উপাসনালয়গুলো রক্ষণাবেক্ষণের করে দেশটির পিএসজিপিসি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুদুয়ারাগুলো সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকলেও সম্প্রতি নানা অভিযোগ উঠেছে এর দায়ত্বশীলদের বিরুদ্ধে। ভবন সংস্কার না করা, খাবার নিম্নমানসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় শিখরা। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে দ্য ট্রিবিউন।
খবরে বলা হয়, শিখগুরু নানকের স্মৃতিবিজড়িত একটি গুরুদুয়ারা রয়েছে পাকিস্তানে। যেটি শিখ সম্প্রদায়ের কাছে খুবই পবিত্র হিসেবে গণ্য হয়৷ কিন্তু এর ভঙ্গুর অবস্থা এখন। গুরুদুয়ারা সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কমিটি এটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি দীর্ঘদিন ধরে।
শুধু তাই নয়, ‘ল্যাঙ্গারে' তীর্থযাত্রীদের পরিবেশন করা খাবারের মান নিয়েও ক্ষুব্ধ শিখর। 'ল্যাঙ্গার' শিখ ধর্মের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, যেখানে সমস্ত দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়। এটি সাম্য, নিঃস্বার্থ সেবা এবং সম্প্রদায়ের শিখ নীতিগুলিকে মূর্ত করে। তবে শিখরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ বাসি খাবার পরিবেশন করে। এতে দর্শনার্থীরা অসুস্থ হচ্ছেন।
ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, লঙ্গর হলের ওপর থেকে শ্রী নিশান সাহেবকে অপসারণ করাও শিখদের ক্ষুব্ধ হবার অন্যতম কারণ। শ্রী নিশান সাহেব শিখ ধর্মীয় পতাকা এবং সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। গুরুদ্বারের উপরে এর উপস্থিতি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় প্রতীক নয় বরং গর্বের উৎসও বটে। এটি অপসারণ অনেককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ওই খবরে আরও বলা হচ্ছে, শিখ সম্প্রদায়ের হতাশার সাথে যোগ হচ্ছে পিএসজিপিসির বিভিন্ন বিষয়ে দায়িত্বহীন আচরণ। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আমির সিং এবং অন্যান্য কমিটির সদস্যরা বেশ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। ভক্তদের সংগে যাদের সংযোগ খুবই সীমিত।